গতি ফিরল জীবন-জীবিকার

১১ অগাস্ট ২০২১

কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করায় আজ বুধবার থেকে ফের স্বাভাবিকভাবে ঘুরতে শুরু করেছে দেশের মানুষের জীবন-জীবিকার চাকা। করোনার সংক্রমণ রোধে আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধের কারণে জরুরিসেবা ও পন্যবাহী যান ছাড়া সবকিছুই বন্ধ ছিল এতদিন। বাড়ির বাইরে মাস্ক ও করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার শর্ত ঠিক রেখে কয়েকদিন আগে এ বিধিনিষেধ শিথিলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, কার্যকর হচ্ছে আজ। জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। তবে শিথিলকালে বন্ধ থাকবে পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, বিনোদন কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এদিকে করোনা সংক্রমণ ও করোনার রোগীর মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই বিধিনেষেধের প্রায় সব শর্তই শিথিল করায় পরিস্থিতি ঘোলাটে হওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এ সময়ে মানুষ যদি সচেতনভাবে মাস্ক না পরে আর অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভারে প্রতিপালন না করে তবে সংক্রমণ আরো ছড়িয়ে পড়েত পারে। যদিও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাফ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় ফের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। আর গণপরিবহন চালুর বিষয়ে বলেছেন, তার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বা কথা না বলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ছিল।

অন্যদিকে জীবন-জীবকা ঠিক রেখে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সবাইকে টিকার আওতায় আনার ওপর জোর দিয়েছে সরকার। তাই ৭ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে শুরু করা হয়েছে গণটিকা কার্যক্রম। আর সবাইকে মাস্ক ব্যবহারে ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে প্রয়োজনে আরো কঠোর হওয়ার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিটি গ্রামে কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মাস্ক ঠিকমতো ব্যবহার নিশ্চিত করতে এলাকায় এলাকায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন হবে। এ কমিটি মাস্কের প্রয়োজনীয়তা বুঝানোর পাশাপাশি সবাইকে মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করবেন। সবকিছু আইন করে নিশ্চিত হবে না, কিছু বিষয়ে মোটিভেশন দরকার বলেও মনে করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, বিধিনিষেধ শিথিলের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে- সরকারি বেসরকারি সব অফিস ও শিল্প-কলকারখানা খোলা থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তবে অর্ধেক সংখ্যক গণপরিবহন চলবে। শপিং মল, দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এবং খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত এবং করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর