বাজার করতে হিমশিম মানুষের

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

দেশের বাজারে বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম।  এতে বাজার করতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। নিত্যপণ্যের পাশাপাশি সবজিও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে, বিশেষত শীতকালীন সবজি। দাম কবে নাগাদ স্বস্তির মধ্যে আসবে- সেটা জানেন না ক্রেতারা, বলতে পারছেন না বিক্রেতারাও। আয়ের অধিকাংশই এখন পণ্য কেনার পেছনে চলে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের হাপিত্যেশের যেন শেষ নেই।

তথ্য অনুযায়ী, আগের সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে প্রতিকেজি পেঁয়াজে ২০ শতাংশ ও আলুর ১৬ শতাংশের বেশি দাম বেড়েছে। বেড়ে গেছে সয়াবিন ও পামওয়েলের দামও, লিটারে ৩ টাকা। মাঝারি ধরণের চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি দুই টাকা।

শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০-৪০ টাকা ও আলু  ১৫-২০ টাকা দরে কেজি বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহের ১৫০ টাকা দামের এক লিটার বোতলজাত  সয়াবিন এ সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৫৩ টাকায়। ৫ লিটার বোতলের দাম বেড়েছে ২০ টাকার মতো, ৭২০ টাকা দামের ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হয়েছে ৭৪০ টাকায়। ৫৬ টাকায় বিক্রি হওয়া মাঝারি চাল বিক্রি হয়েছে ৫৮ টাকা কেজি দরে।

রাজধানীর সবজি বাজারে শুক্রবার কেজি প্রতি পাকা টমেটো ৪০-৫০, বেগুন ৮০-১০০, শিম ৬০-৭০, গাজর ৩০-৪০, করলা ৮০-৯০, শালগম (ওলকপি) ৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। পিস প্রতি  লাউ ৫০-৬০, ছোট ফুলকপি ৩৫-৪০ ও বড় ফুলকপি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর শাকের আঁটি লাল ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালং ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অথচ আগের সপ্তাহে পাকা টমেটো ২৫-৩০, বেগুন ৬০-৮০, গাজর ২০-৩০, করলা ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

দাম বাড়ার কারণ হিসেবে  সবজি ব্যবসায়ীরা বরাবরের মতোই বলছেন, সরবরাহ কমে আসায় দাম বেড়েছে।  বৃষ্টিতে কিছু সবজি নষ্ট হওয়াটাও দাম বৃদ্ধির কারণ বলে মনে করছেন তারা।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর