মাস্ক ব্যবহার ও করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের শর্ত বহাল রেখে জীবন-জীবিকার স্বার্থে কঠোর বিধিনিষেধের বেশিরভাগ শর্তই শিথিল করা হয়েছে। ফলে বন্ধ থাকার প্রায় দেড় মাসের মাথায় খুলেছে সরকার বেসরকারি অফিস-প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা ও দোকানপাট। সড়কে চলছে গণপরিবহন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরোপুরি মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। মুখে মাস্ক থাকলেও বালাই নেই সামাজিক দুরত্বের।ফলে করোনার সংক্রমণের বিস্তার দ্রুত ঘটার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
এদিকে গতকাল বুধবারও প্রায় আড়াই শ’ এর কাছাকাছি করোনা রোগীর মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। করোনার সংক্রমণ বিস্তার রোধে দেশজুড়ে জুলাইয়ের শুরুতে এ বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। মাঝে ঈদের কারণে সপ্তাহখানে শিথিল থাকলেও পরে আবারো শুরু হয় এ বিধিনিষেধ। ১০ আগষ্ট এ বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হয়, ১১ আগষ্ট থেকে এ বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে।আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বিষয়গুলো আগেই জানিয়ে দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
শিথিলের প্রথম দিনেই মার্কেট, দোকানপাট, শপিং মলে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।আগের মতোই যানজট লেগেছিল রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে।ভিড় দেখা গেছে ফুটপাতের বিক্রেতাদের দোকানেও। কম জায়গার কারণে ক্রেতাদের একজন আরেকজনের সঙ্গে গা-ঘেঁষেই করছেন কেনাকাটা। কথা বলার সুবিধার্থে মাস্ক নামিয়ে দরদাম করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতারা নিজে থেকে সচেতন না হলে তাদের পক্ষে স্বাস্থ্যবিধি পালন করানোটা খুব দুরূহ কাজ। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে শপিংমল ও মার্কেটসহ সংশ্লিষ্ট জায়গায় প্রশাসেনর পক্ষ থেকে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার তাগিদ দিচ্ছেন ওয়াকিবহাল মহল।
এমকে