শিথিলে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা, হুমকিতে অর্থনীতি

১৪ অগাস্ট ২০২১

করোনার বিস্তার রোধে আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলে কিছুটা তাড়াহুড়ো করা হয়েছে। এতে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা বাড়তে পারে, অর্থনীতিও আরো বেশি হুমকির মুখে পড়বে। অন্ততঃ আরো ১-২ সপ্তাহ এ বিধিনিষেধ চলমান থাকলে পুরোপুরি সুফল পাওয়া যেতো।  এমনটাই মনে করছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তাই বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এ শিথিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনাসহ সার্বিক কর্মকাণ্ডে বেশ কিছু সুপারিশ করেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার কমিটির ৪৪তম সভায় বিদ্যামান করোনা পরিস্থিতি ও কঠোর বিধিনিষেধ বিষয়ে আলোচনাসহ এ সুপারিশের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় জানানো হয়, ২৩ জুলাই পরবর্তী আরোপিত বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালিত হয়নি। কিন্তু  জনসমাগম হয়, এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান বন্ধ থাকায় সংক্রমণ হার কমেছে। তবে স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আসেনি সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার। তাই তাড়াহুড়ো করে বিধিনিষেধ শিথিলে উদ্বেগও প্রকাশ করা হয় সভায়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।  শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বাকি সুপারিশগুলো মধ্যে রয়েছে- ন্যূনতম সভা/সমাবেশ, সামাজিক অনুষ্ঠান, পর্যটন/বিনোদন কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার আরো কিছুদিন বন্ধ রাখা। হোটেল- রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা না রাখা, কেবলমাত্র বিক্রি করার অনুমতি দেয়া। মোট আসনের অর্ধেক সংখ্যক আসনে যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচল।  সম্ভবযোগ্য ক্ষেত্রে হোম অফিস ও অনলাইনে সভা/কর্মশালা/প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রেখে অফিসিয়াল কার্যক্রম চালু রাখা।শতভাগ ও সঠিকভাবে তিন লেয়ার বিশিষ্ট মাস্ক পরার নিশ্চয়তায় ও অন্যথায় পুনরায় বন্ধের  বিধান রেখে অফিস,আদালত, ব্যাংক, দোকানপাট, বাজার খোলা।আর এসব ক্ষেত্রে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিত করা।

এছাড়া সভায় এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ২য় বর্ষ ও শেষ বর্ষের ক্লাস চালুর বিষয়েও আলোচনা হয়। দুই ডোজ টিকা নেয়া এসব বর্ষের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সাপেক্ষে প্রাথমিকভাবে এ দুই বর্ষের ক্লাস শুরুর পক্ষে  মতামত দিয়েছেন এ কমিটি।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর