আজ জাতীয় শোক দিবস

১৫ অগাস্ট ২০২১

আজ ১৫ আগষ্ট, জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদতবার্ষিকী। ’৭৫ এর এ রাতে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে দৃশ্যত নির্মমভাবে হত্যা করেছিল বিপদগামী একদল সেনা, নেপথ্যে ক্ষমতালিপ্সু কতিপয় ষড়যন্ত্রকারী। হত্যা করা হয় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়া বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীমহ পরিবারের বাকি সদস্য ও ঘনিষ্টজনদের।বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর খবর যখন স্বাধীন বাংলার চারিদিকে ছড়ায়, তখন গোটা জাতি হয়ে যায় হতভম্ব, কিংকর্তব্যবিমূঢ়। সে রাত থেকেই এখনো জনক হারানোর কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছে জাতি।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে ও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে রাষ্ট্রীয়ভাবে জনক হারানোর দিন পালন হয়নি। পরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয় দিনটিকে। যদিও মাঝে বিএনপি-জামায়াত’র শাসনামলে দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন হয়নি। কিন্ত পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় থেকে ফের রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক দিবস পালন করা হচ্ছে। এদিনে গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় জাতি স্মরণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধুকে।

এবারো যথাযথ ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সারাদেশে পালিত হবে দিবসটি। দিবসটি উপলক্ষে আগেই সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনও স্ব স্ব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে সব কর্মসূচি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কিছুটা সীমিত করা হয়েছে।করোনার সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে এসব কর্মসূচিতে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদ বাণী দিয়েছেন।

দিবসটির কর্মসূচির মধ্য রয়েছে- সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মোনাজাত, বনানী কবরস্থানে ১৫ আগষ্টে শহীদ সবার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ; ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত,গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফাতেহা পাঠ, পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মোনাজাত, সারা দেশের মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতার বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে জাতীয় দৈনিক।

প্রসঙ্গত, ’৭৫ এর ১৫ আগষ্টের সে রাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঘাতকদের বুলেটে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব, বড় ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। ঘাতকদের পিশাচতা থেকে রেহাই পায়নি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ ও মেয়ে বেবি, সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। কিন্তু বিদেশে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে বেঁচে ‍যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর