বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সিতেও কেনা যাবে পণ্য

১৭ অগাস্ট ২০২১

সম্প্রতি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দেয়া রায়ে কেনাবেচার ক্ষেত্রে ক্রিপ্টোকারেন্সির ওপর আরোপিত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিষেধাজ্ঞা ওঠে গেছে। ফলে বিটকয়েনের মতো এর মাধ্যমে এখন থেকে নিত্যপণ্য কেনা যাবে। তার আগে কিনতে হবে ইউনোকয়েনের ভাউচার। আর এ ভাউচার দিয়ে কেনা যাবে পিৎজা, কফি, আইসক্রিমের মতো ভোগ্যপণ্যও। এভাবে নিত্যপণ্য কেনার সুযোগ দিচ্ছে দেশটির ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ তথা ওয়ালেট সংস্থা ইউনোকয়েন। এর আগে বিটকয়েনের মাধ্যমে ভাউচার কেনার সুযোগ দিতে ফ্লিপকার্টের সঙ্গে গাটছড়া বেঁধেছিল ক্রিপ্টো ওয়ালেট জেবপে।

ইউনোকয়েন জানিয়েছে, ১০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা মূল্যের ভাউচার সম অর্থমূল্যের বিটকয়েন দিয়ে কেনা যাবে। কোন কোন সংস্থার ভাউচার কেনা যাবে তা মোবাইলের নিজস্ব অ্যাপে তুলে ধরবে ইউনোকয়েন। সংস্থাটি জানায়, ভাউচার কিনলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ওয়ালেট থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিটকয়েন ডেবিট হয়ে যাবে। আর ভাউচারের কোড পৌঁছে যাবে গ্রাহকের কাছে। পরবর্তীতেতে এ কোড দিয়েই নির্দিষ্ট ব্রান্ডের নির্ধারিত পণ্য কেনা যাবে।

কম্পিউটার বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা ব্যবহার করে তৈরি ডিজিটাল মুদ্রাই হচ্ছে ক্রিপ্টোকারেন্সি। এর মতোই একটি মুদ্রা হচ্ছে বিটকয়েন। ক্রিপ্টোকারেন্সির বস্তুগত কোন অস্তিত্ব নেই, অস্তিত্ব আছে কেবল অনলাইনে। দেশটিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিটকয়েনের মাধ্যমে সরাসরি কেনাকাটা এখনো শুরু হয়নি। এদিকে বস্তুগত অস্তিত্ব না থাকায় বিপজ্জনক ভেবে এ মুদ্রা আইনের আওতায় আনার চিন্তাভাবনা করছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে প্রথম বিটকয়েন ব্লক তৈরি করেন জাপানের সাতোশি নাকামোতো নামের এক বিশেষজ্ঞ। কোডিংয়ের ক্ষেত্রে দক্ষতা খুব থাকলেই কেবল ক্রিপ্টোকারেন্সি ‘মাইনিং’করা যায়। এর বাইরে ব্যাঙ্ক আ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেও ইউনোকয়েনের মতো ওয়ালেট থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা যায়। আর ইউনোকয়েনের আত্মপ্রকাশ হয় ২০১৩ সালে। এরপর একে একে অন্যান্য ক্রিপ্টো ওয়ালেট সংস্থা গড়ে ওঠে দেশটিতে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর