সরকারি চাকুরেদের দুর্নীতি ঠেকাতে এখন হার্ডলাইন অবস্থানে সরকার। সরকার চাচ্ছে একটা দক্ষ সেবামুখী জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ে উঠুক। এতে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পরও দুর্নীতি আর একদমই সহ্য করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিযেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর দুর্নীতির বিষয়ে কঠোর ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে ‘ম্যাসেজ’ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।বুধবার সচিব-সভায় সরকারি চাকুরেদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরকারের অবস্থানের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভা হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সরকারি চাকুরেদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু আমরা অনেক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি। অর্থনৈতিকভাবে অগ্রগতি হচ্ছে। এ জন্য কোনো ধরনের দুর্নীতিকে আমরা সহ্য করবো না। সেটিকে মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।’
সচিবদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানে দুর্নীতি দেখবেন, সেখানেই ব্যবস্থা নিতে হবে- কঠোর ব্যবস্থা। যারা ভালো কাজ কবেন, তারা অবশ্যই পুরস্কৃত হবেন। আর যারা দুর্নীতিতে জড়াবেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা চাই, আপনারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন। এ সময়ে সরকারি সব চাকুরের বেতন বৃদ্ধি, আবাসন ব্যবস্থা, বিভিন্ন উৎসব ভাতা, গৃহনির্মাণে সহজে ঋণ পাওয়া, গাড়ি কেনার ব্যবস্থা, অবসরে বা পিআরএল-এর সুবিধা বৃদ্ধির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো জানান, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেয়ার বিষয়টি কার্যকর করা সম্ভব হবে, অবশ্যই কার্যকর হবে।মঙ্গলবার ভিন্ন গ্রাউন্ডে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী । সচিব-সভায় একজন ছাড়া সব সচিব উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এমকে