বাগেরহাট প্রতিনিধি:
৪৭ দিন বন্ধ থাকার পর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদসহ বাগেরহাটের পর্যটন-বিনোদন কেন্দ্রগুলো দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। প্রথম দিনে ষাটগম্বুজ মসজিদ ও খানজাহান আলীর মাজারে দর্শনার্থীদের আধিক্য থাকলেও পৌর শিশু পার্ক, বারাকপুরের সুন্দরবন রিসোর্ট, চুলকাঠি এলাকার চন্দ্রমহলে দর্শনার্থী ছিল কম। এদিকে বাগেরহাটের আরেক বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে এখনো দর্শনার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। কবে নাগাদ প্রবেশ করতে পারবে তাও জানানো হয়নি।করোনার সংক্রমণ রোধে আরোপিত বিধিনেষেধের আওতায় এতদিন এসব কেন্দ্র বন্ধ ছিল।
মাগুরা থেকে ষাটগম্বুজে আসা শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন ও সামিউল আলিম বলেন, জরুরী কাজে বাগেরহাটে এসেছি। কাজ শেষে জানতে পারলাম ষাটগম্বুজ মসজিদ খোলা। তাই সুযোগটা কাজে লাগালাম। ষাটগম্বুজ মসজিদ ও বাগেরহাট যাদুঘর ঘুরে অনেক ভাল লেগেছে। বাবা-মায়ের সাথে ঘুরতে আসা মিথিলা আক্তার বলেন, অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল ষাটগম্বুজে আসবো, কিন্তু পারিনি। সকালে বাবা বললেন, সব পর্যটনকেন্দ্র খুলেছে, আজকে যাই। পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই পরিবারের সবাই মিলে চলে এলাম। খুবই ভাল লেগেছে এখানে এসে।
পৌর শিশু পার্কের টিকিট বিক্রেতা আসমা আক্তার ডলি বলেন, দীর্ঘদিন পরে সকালে পার্ক খোলা হয়েছে, কিন্তু তেমন কোন দর্শনার্থী আসেনি। সারাদিনে ১০-১২ জন এসেছেন। বাগেরহাট যাদুঘরের এ্যাটেন্ডেন্ট আহাদ আলী বলেন, দুপুরে খোলার পর থেকেই দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছেন। যারা আসছেন, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাদুঘর ও ষাটগম্বুজ মসজিদ পরিদর্শন করছেন।ষাটগম্বুজ মসজিদের সাইড পরিচালক (টিকিট বিক্রেতা) খান আবু তালেব বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী দুপুর দুইটার পরে ষাটগম্বুজ মসজিদ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। বিকাল ৫ টা পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক দর্শনার্থী ষাটগম্বুজে প্রবেশ করেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই প্রবেশ করছে। পূর্ব সুন্দরবনের ডিএফও (বিভাগীয় বনকর্মকর্তা) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনে ভ্রমণের জন্য কোন আদেশ এখনো আসেনি। তাই পর্যটকদের জন্য এটি উন্মুক্ত করা যাচ্ছে না। বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকার পর্যটনকেন্দ্র দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ষাটগম্বুজ মসজিদের গেটে দর্শনার্থীদের জন্য মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সব বিনোদন কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিদর্শন করা হবে। কোন ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষিত হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নূরুজ্জামান শেখ/এমকে