মিল গেটে দাম বাড়েনি। দাম বাড়েনি কৃষকের মালিকানায় থাকা ধানের। তারপরও দেশের বাজারে মোটা-চিকন সব চালের দাম আগের চেয়ে বাড়তি। ফলে চাল কিনতে ভোক্তাদের ওঠছে নাভিশ্বাস। অভিযোগ ওঠেছে- অবৈধ মজুতদার ও সিন্ডিকেটের চক্রের কারণেই স্থিতিশীল হচ্ছে না চালের বাজার, কমছে না দাম। আর কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি ও লাভ বেশি করার উদ্দেশ্যে মোটা চাল মেশিনে কেটে চিকন চালে রুপান্তির করার অভিযোগ রয়েছে। মিল গেটে চালের দর স্থিতিশীল ও ধানের দাম না বাড়ানোর কথা গণমাধ্যমকে বলেছেন চালকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অটো, মেজর ও হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী।
এদিকে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের তরফ থেকে নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। আমদানিতে কমানো হয়েছে শুল্ক, সঙ্গে কাস্টম ডিউটি আর রেগুলেটরি ডিউটি (আবগারি শুল্ক)।আমদানি হতে যাচ্ছে কমপক্ষে ১০ লাখ টন চাল। খোদ খাদ্যমন্ত্রী অবৈধ মজুতদারির বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। কিন্তু দৃশ্যত এসবের কোন প্রভাব বুঝতে পারছে না ভোক্তারা।
কদিন আগের ৫০ টাকা দরের মোটা চাল এখন ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সব শ্রেণির ক্রেতার নাগালের বাইরে চিকন চালের দাম। চালের পাইকাররা বলছেন, ঈদের পর ৫০ কেজির বস্তায় ১৫০ টাকা এবং ২৫ কেজির বস্তায় ৮০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। ঈদের আগেও বেড়েছিল দাম।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছরেও প্রতি কেজি চালের গড় দাম ছিল ৫৬ টাকা। এখন প্রতি কেজি (মাঝারি মানের) চালের গড় দাম ৬০ টাকা হয়েছে।
চালকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অটো, মেজর ও হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মিলগেট দেয়া ব্যবসায়ীদের ভাউচার দেখলেই দাম বৃদ্ধির সত্য বেরিয়ে আসবে। চালের দাম বাড়ছে হাতবদলের কারণে। আমদানির চাল বাজারে এলে দাম কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
এমকে