দ্রুত কার্যকর হবে গ্রেনেড হামলা মামলার রায়, আশা প্রধানমন্ত্রীর

২০ অগাস্ট ২০২১

সব আইনি বিধিবিধান ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর হবে। একুশে আগস্ট ‘গ্রেনেড হামলা দিবস’ উপলক্ষে দেয়া বাণীতে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, এ রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আর রায় কার্যকরের মাধ্যমে দেশ থেকে হত্যা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের চির অবসান হবে।দেশ পরিণত হবে নিরাপদ-শান্তিপূর্ণ আবাসভূমিতে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় এ হামলা চালানো হয়। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা; আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করা; পাশাপাশি দেশে হত্যা, ষড়যন্ত্র, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করাই ছিল এ হামলার মূল উদ্দেশ্য।বাণীতে সেদিনের বিভেষিকাময় ঘটনা ও ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও তাদের বিচার করা ছিল সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো হত্যাকারীদের রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা করে। কিন্ত শেষ রক্ষা হয়নি, চাপা থাকেনি সত্য। এ হামলার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জোটের অনেক কুশীলব সরাসরি জড়িত, সে তথ্য বেরিয়ে আসে পরবর্তী সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তে।রায়ে তাদের শাস্তি দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় এ হামলা চালানো হয়। আওয়ামী লীগ তখন বিরোধী দলে ছিল।দেশের ইতিহাসের বর্বরতম এ হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভানেত্রী বেগম আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২২ নেতাকর্মী নিহত হন। আহত হন ৫ শতাধিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও নিরাপত্তাকর্মী। নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে এ মামলার রায় হয়। রায়ে বিএনপি নেতা ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন ও বিভিন্ন মেয়াদে আরো ১১ আসামিকে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর