অন্তঃসত্ত্বা রোগীর পেটে লাথি দেয়ার অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

২২ অগাস্ট ২০২১

বগুড়া প্রতিনিধি:

চিকিৎসা দেয়াকে কেন্দ্র করে চিকিৎসক ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে হাতাহাতির সময় জয়নব বেগম নামের এক অন্তঃসত্ত্বা রোগীর তলপেটে লাথি দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে দায়িত্বরত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তলপেটে আঘাত লাগার কারণে ভুক্তভোগীর রক্তপাত হয়েছে। শনিবার (২১ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শজিমেক) গাইনি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগীকে পরে শহরের ইসলামী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রক্তপাত হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন ইসলামী হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজেদুর রহমান জুয়েল।

জয়নবের স্বামী আসলাম আলী ফোনে জানান, পেটের ব্যথার চিকিৎসার জন্য গাইনি ওয়ার্ডটি ভর্তি করা হয় তার স্ত্রীকে। কিন্তু ইন্টার্নি চিকিৎসকরা কোন কথা শুনছিলেন না। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে চিকিৎসকরা তাদের মারধর শুরু করে। এ সময় জয়নব এগিয়ে এলে তাকেও তলপেটে লাথি মারে চিকিৎসকরা।

বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক শামিম জানান, মারপিটের ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে যাই। রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মারপিট হয়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। স্বজনরা রোগীকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে চলে গেছে।

শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, কর্তব্যরত চিকিৎসককের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের হট্টগোল হয়েছিল। ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারাও হট্টগোলে জড়িয়ে পড়েন। তবে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি, শুধু ধস্তাধস্তি হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি মারার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

দীপক কুমার সরকার/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর