বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ায় সালিশে মারপিটে আহত হোটেল শ্রমিক আব্দুল মমিন মারা গেছেন। এ ঘটনায় তৌহিদুল ইসলাম বিটু নামের এক কাউন্সিলরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।একই সঙ্গে দাফনের প্রস্তুতিকালে মমিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় এক মেয়েশিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠায় শুক্রবার সন্ধায় সালিশটি হয় ফুলবাড়ি ফাউন্ডেশন নামের একটি ক্লাবে, অভিযুক্ত ছিলেন আব্দুল মমিন।
আব্দুল মমিন ফুলবাড়ি মধ্যপাড়ার রেজাউলের ছেলে। তৌহিদুল ইসলাম বিটু বগুড়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে ও কাউন্সিলরকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
আব্দুল মমিনের স্ত্রী বর্ষা ও শাশুড়ি জানান, সালিশে মমিনকে ডেকে নেয় তৌহিদুল ইসলাম বিটু। সেখানে বিচারের নামে কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় তাকে। পরে মমিনের বাবার জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ওই শিশুকে সিগারেট আনতে দেয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা হয়।
আব্দুল মমিনের ভগ্নিপতি জাহিদ জানান, মারপিটের পর মমিন অসুস্থ বোধ করলেও কথাবার্তা স্বাভাবিক বলছিলেন। শনিবার রাত থেকে পেটব্যথার কথা বলে মোমিন। রোববার সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে তৌহিদুল ইসলাম বিটু তার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে মরদেহ নিজ উদ্যোগে মমিনের বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং নিজের খরচে দাফনের প্রস্তুতি নেন। তখনই খবর পায় পুলিশ।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, মোমিনের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠায় তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
দীপক কুমার সরকার/এমকে