আমদানিতে রেকর্ড, প্রভাব নেই বাজারে

২৩ অগাস্ট ২০২১

দেশে চাল আমদানিতে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।১৩ লাখ মেট্রিক টনের কিছুটা বেশি মজুদ রেখে চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।বাজারে চালের দর সহনীয় পর্যায়ে স্থিতিশীল রাখতে সরকারিভাবে ও বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি করছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।এদিকে আমদানি বাড়লেও এর ইতিবাচক প্রভাবে নেই বাজারে।গরীবের চাল ‘মোটা’টা কেজি বিক্রি হচ্ছে এখন ৪৮ টাকার ওপরে, সরু চালে এ দর ৭০ টাকার কাছাকাছি।যে কোনো সময়ের চেয়ে আমদানি বাড়ার এ কথা বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চাল আমদানিতে এলসি খোলার হার থেকে এ কথা বলছে ব্যাংকটি।

ব্যাংকটির হালনাগাদ প্রতিবেদন, আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে গত এক বছরে এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে ৩ হাজার ৩৫৬ শতাংশ। এলসি নিষ্পত্তি বেড়েছে ৪৯৪ শতাংশ। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য বলছে, এক বছরের ব্যবধানে সরু চালে ৮ শতাংশের বেশি ও মোটা চালে প্রায় দুই শতাংশের কাছাকাছি দাম বেড়েছে। বাজারের তথ্য বলছে, মোটা চাল ৪৮-৫০ টাকা ও চিকন চাল ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে আমদানি বাড়লেও অর্থনীতিতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেছেন উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) সংশ্লিষ্ট গবেষকরা। কারণ হিসেবে বলছেন, আমদানিতে ডলার বেশি খরচ হলেও দেশে এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভালো অবস্থানে আছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ১৯ আগস্ট পর্যন্ত চাল, গম ও ধান মিলে ১৬.৮৩ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। এর মধ্যে চাল ১৩.০৪ লাখ মেট্রিক টন, ১.৯৭ লাখ মেট্রিক টন গম ও ১.২৫ লাখ মেট্রিক টন ধান রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে (জুলাই- জুন) ৮৭ কোটি ৬২ লাখ ডলারের এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৫৩ হাজার ডলার। অন্যদিকে গত অর্থবছরে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৩৪ কোটি ২ লাখ ডলারের, আগের অর্থবছরের এ সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৭২ হাজার ডলারের।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর