দুদককে আরো কঠোর হওয়ার পরামর্শ হাইকোর্টের

২৪ অগাস্ট ২০২১

দেশে দুর্নীতি চর্চা বন্ধে আইনগত জায়গা থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)কে আরো কঠোর হওয়া উচিত। আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান বা তদন্ত শেষ করার ক্ষেত্রে দুদকের  ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ দেখতে না পেয়ে এ কথা বলেন হাইকোর্ট।দুদকের মামলায় বিশেষ জজ আদালতে এক আসামির পাওয়া অব্যাহতির আদেশ বাতিল সংক্রান্ত রিভিশন পিটিশন’র রায়ে দেয়া পর্যবেক্ষণে এ কথা বলা হয়েছে।৭২ পৃষ্ঠার  রায়টি মঙ্গলবার প্রকাশ হয় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের সইয়ের পর।

নির্ধারিত এ সময়ে অনুসন্ধান বা তদন্ত শেষ করতে না পারা সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় রায়ে হতাশা ব্যক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কমিশনের উচিত নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই  অনুসন্ধান বা তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তকে বিচারের আওতায় আনা। তাহলেই দুর্নীতি এবং দুর্নীতি চর্চা নির্মূল হবে।  

 

প্রসঙ্গত, ঘুষ নেয়ার অভিযোগে ২০১১ সালের ২৬ জুলাই কুড়িগ্রাম পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মমিনুর রহমান ও সহকারী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদকের আঞ্চলিক কার্যালয়।বিচারাধীন এ মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতে ২০১৯ সালের ৬ মে  আবেদন করেন মো. জহিরুল ইসলাম। আদালত  মামলা থেকে অব্যাহতি দিলে ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি আবেদন (রিভিশন পিটিশন) করে দুদক। আবেদনের শুনানি নিয়ে  অব্যাহতি দেয়ার আদেশ কেন বাতিল হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে রুলটি যথাযথ ঘোষণা করে ২৪ জানুয়ারি রায়টি দেন হাইকোর্ট। রায়ে বিশেষ আদালতে বিচারাধীন মামলাটির বিচার কাজ এক বছরের মধ্যে অথবা দ্রুত সময়ে শেষ করতে নির্দেশ দেন।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর