আমদানি অব্যাহত থাকার পরও বাজারে চালের দাম চড়া। বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি ও বেশিরভাগ নিত্যপণ্য। আর চলমান করোনা সঙ্কটের মধ্যে বেশি দামে এসব পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন ও নির্ধারিত আয়ের মানুষ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্যের মজুদ, সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাজার মনিটরিংয়ের বিষয়টি বুধবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বিষয়ে এক জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।
দেশে নিত্যপণ্যের কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে বাণিজ্য সচিব জানান, চালের মূল্যের বিষয়টি খাদ্য মন্ত্রণালয় দেখছে। আর চিনি ও তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্ধারণ করা হবে। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে আমদানির পণ্যের দাম নির্ধারণ করতে সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারপরও আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে কেউ যেন দাম বাড়াতে না পারে, সেজন্য ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনে তেল ও চিনিসহ আমদানি করা পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে এনবিআরকে শুল্ক কমাতে চিঠি দিবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য সচিবের সভাপতিত্বে বৈঠকে স্টেকহোল্ডার, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এমকে