অটোরিকশা চুরির জন্যই চালক ইমনকে হত্যা

২৬ অগাস্ট ২০২১

মহিদুল খান, চাটমোহর:
লাশ পাওয়ার ১৮ ঘন্টার মধ্যেই পাবনার চাটমোহরের চাঞ্চল্যকর অটোরিকশাচালক ও স্কুলছাত্র ইমন হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে খোয়া যাওয়া অটোরিকশাটিও। অটোরিকশাটি চুরি করতেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইমনকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান। বৃহস্পতিবার চাটমোহর থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা বলেন মি. খান।


গত ২০ আগস্ট সকালে উপজেলার হাণ্ডিয়াল বিলে মৃত একজনকে ভাসতে দেখে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পরে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তার হাত-পা বাঁধা ছিল দড়ি দিয়ে। লাশটি তার নিখোঁজ ছেলের- শনাক্ত করেন ইমন হাসানের বাবা জাকির হোসেন। লাশ উদ্ধারের একদিন আগে বুধবার রাত দশটার দিকে পাশ্ববর্তী উপজেলার মান্নাননগর থেকে ৪ জন যাত্রী দিয়ে রওনা দেন ইমন। এরপর থেকে লাশ উদ্ধারের আগ পর্যন্ত নিখোঁজ ছিল সে। চেষ্টা চালিয়েও খোঁজ না পেয়ে ১৯ আগষ্ট থানায় মিসিং ডায়েরি করেন জাকির হোসেন। জাকির হোসেনের বাড়ি উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের মাঝগ্রামে। ইমন স্থানীয় আশরাফ জিন্দানী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি চালাতো সে। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।

প্রেস বিফিংকালে পুলিশ সুপার মহিবুল বলছিলেন, গ্রেফতারকৃতরা হলো- একই ইউনিয়নের চিনাভাতকুর গ্রামের রওশন আলীর ছেলে রাকিবুল (১৯), শামসুল মন্ডলের ছেলে নুরুজ্জামান (২৫), রোস্তম আলীর ছেলে জেলিম হোসেন (১৮), রবিউল করিমের ছেলে হৃদয় হোসেন (১৮) ও মির্জাপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে টুটুল হোসেন (১৬)। এদের মধ্যে প্রথম চারজনই ওই ৪ যাত্রী, তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। বাকিজনের সঙ্গে এ ঘটনার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকেও আইনের আওতায় আনা হয়েছে। গ্রেফতারের আগে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই এদের শনাক্ত করা হয়।

আসামি নুরুজ্জামান ও রাকিবুল ফাঁস দিয়ে ইমনকে হত্যা করে। আর সেলিম ও হৃদয় দড়ি দিয়ে গলা ও পা বেঁধে লাশ রাস্তার ধারে পানিতে ফেলে দেয়। এরপর তারা সিএনজিটি নিয়ে চলে যায়- ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণে এ কথা জানান পুলিশ সুপার মহিবুল খান।

প্রেস ব্রিফিংকালে সহকারি পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন, চাটমোহর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান বাশীরসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইমন হাসানের পিতা জাকির হোসেন,মা,দাদাসহ ও স্বজনরা।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর