এম এ মাসুদ,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা) :
গত বোরো মৌসুমে দাম ভালো পাওয়ায় নতুন উদ্দীপনা নিয়ে আমন চাষে ঝুঁকেছেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের চাষীরা। অতি ভারী বর্ষণ এবং বড় ধরণের বন্যার সম্ভাবনা কম থাকায় নিজেদের নির্ধারণ করা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।যদিও শুরুতে বৃষ্টিপাত আশানুরুপ না হওয়ায় আমন আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন কৃষক। কিন্তু আধুনিক সেচ ব্যবস্থার কারণে বৈরী আবহাওয়া বড় বাঁধা হতে পারেনি এ আবাদে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি মৌসুমে ২৮ হাজার একশ ৯৩ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।ইতোমধ্যেই আবাদ হয়েছে ২৭ হাজার তিনশো ৬৩ হেক্টর জমিতে।১ লাখ ২২ হাজার ছয়শ’ ২০ জন কৃষক আমন চাষ করেন।এদের মধ্যে ১৯৫ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ধানের বীজ এবং ৬৫০ জন কৃষককে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার নিচু অঞ্চলগুলোতেও প্রায় চারা লাগানোর কাজ শেষ করেছেন কৃষকরা। ঘন সবুজে ভরে ওঠা আমনের আবাদি জমিতে কৃষাণ-কৃষাণীরা করছেন আগাছা নিড়ানোর কাজ।
উপজেলার নবাগত ও তরুণ কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুল কবির বলছেন, ' আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অন্তত ৫শ’ হেক্টর বেশি জমিতে আমন চাষ হতে পারে। এ সময়ে ধান গাছে দেখা দিতে পারে বাদামি গাছ ফড়িং (কারেন্ট পোকা) বা খোলপচা রোগ। রোগ প্রতিরোধে রোগের ধরণ ও প্রতিকারের পরামর্শ স্বরূপ চাষীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ ও প্রেসক্রিপশন দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলনও বাম্পার হবে বলে আশা করছেন তিনি।
এমকে