দেশের বেশিরভাগ নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে।এতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৬ নদীর ৯ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আর আগামী ২৪ ঘণ্টায় ৩ নদীর ৫ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। অবনতি হতে পারে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও মানিকগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি।অবনতি না হলেও স্থিতিশীল থাকতে পারে রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে হওয়ার ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পানি বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার এমন তথ্য পাওয়া গেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সংশ্লিষ্টদের কাছে থেকে। যদিও বন্যায় প্লাবিত মোট এলাকার সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি ।
এদিকে বেশিরভাগ প্লাবিত এলাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগসহ স্যানিটেশন ব্যবস্থা। দরিদ্র পরিবারগুলোতে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট। ফলে ভোগান্তি বেড়েছে তাদের। অন্যদিকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিপৎসামী অতিক্রমের সম্ভাবনা থাকা পয়েন্ট ৫টি হচ্ছে- ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারি, যমুনা নদীর কাজীপুর, সারিয়াকান্দি ও মথুরা এবং তিস্তা নদীর ডালিয়া।
বিপৎসীমা অতিক্রম হওয়া পয়েন্টে ৯টি হচ্ছে- পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্ট (৪৫ সেন্টিমিটার) ও সুরেশ্বর পয়েন্টে (৩৬ সেন্টিমিটার), যমুনা নদীর আরিচা পয়েন্ট (১ সেন্টিমিটার) ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্ট (৭ সেন্টিমিটার), আত্রাই নদীর বাঘাবাড়ি পয়েন্ট (২০ থেকে বেড়ে ২৭ সেন্টিমিটার) ধলেশ্বরী নদীর এলাসিন পয়েন্ট (২৩ সেন্টিমিটার) ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্ট (৩ সেন্টিমিটার), যাদুকাটা নদীর লরেরগড় পয়েন্টে (৭ সেন্টিমিটার), মহুরি নদীর পরশুরাম পয়েন্ট (২০ সেন্টিমিটার) এবং মেঘনার চাঁদপুর পয়েন্ট (১১ সেন্টিমিটার)
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, এ সময়ে পদ্মার ভাগ্যকুল ও যমুনা নদীর মথুরা ও গড়াই নদীর কামারখালি পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে নেমে গেছে পানি । পদ্মা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
অন্যদিকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রযেছে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় । বৃষ্টি হলে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র এবং আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানির খুব দ্রুত বেড়ে যেতে পারে।এমন পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের স্টেশনগুলোর মধ্যে কক্সবাজার স্টেশনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে- ১৯৬ মিলিমিটার। আর কম বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে পরশুরামে, ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সেখানে।
এমকে