শেরপুর প্রতিনিধি:
১৯৭১ সালে মুক্তিযু্দ্ধ চলাকালে গণহত্যায় নিহত বাবার নামে ‘শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ’ বাগিয়ে সরকারি চাকুরিসহ সরকারের কাছে থেকে নানা ধরণের সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন আইজউদ্দিন মোল্লার ছেলেরা। অথচ তাদের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তুলে এর বিচার দাবি করেছেন শেরপুরে সদর উপজেলার ২ নং কামারিয়া ইউনিয়নের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মতিন। রোববার জেলা শহরের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় মিলনায়তনে এ সম্মেলন হয়।
আইজউদ্দিন মোল্লা শেরপুরে সদর উপজেলার আন্ধারিয়া বানিয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তার দুই ছেলে, চার মেয়ে। আব্দুল মতিন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৪শ নভেম্বর আন্ধারিয়া বানিয়া পাড়া গ্রামে পাক হানাদার বাহিনীর গণহত্যা চালানোর সময় নিজের বাড়ির পিছনে আখ ক্ষেতে নিহত হন আইজউদ্দিন মোল্লা। পরবর্তীতে তার ছেলেরা বাবার নামে মুক্তিযোদ্ধার সনদ সংগ্রহ করে। ছেলেদের একজন আজিজুর রহমান প্রজন্ম ৭১'র সভাপতি ও অপর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান পুলিশ পরিদর্শক পদে চাকরি করছেন। তারা শুধু ভূয়া সনদ দেখিয়ে সুবিধাই নেয়নি, বরং মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও বিকৃত করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা তালাফতুফ হোসেন মঞ্জু, মো. আবুল হাসেম, মো. মমতাজ উদ্দিন, মো. তালেব হোসেন, চাঁন মিয়া প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মুঠোফোনে ঢাকা থেকে জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি সাংবাদিকদের বলেন, আইজউদ্দিন মোল্লা প্রকৃতির ডাকে তার বাড়ির পিছনে আখ ক্ষেতে গিয়েছিলেন। এ সময় অতর্কিতভাবে পাকিস্তানি সেনারা হামলা চালায় এবং তার মৃত্যু হয়। তাই তাকে মুক্তিযুদ্ধা বলার কোনো সুযোগ নেই।
তারিকুল ইসলাম/এমকে