বোরো মৌসুমে আবাদের ছাড়পত্র পেয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত ধান ‘বঙ্গবন্ধু ধান’। উপযুক্ত পরিচর্যা ও অনুকূল পরিবেশে হেক্টর প্রতি এ ধানের ফলন প্রায় ৯ মেট্রিক টন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। একই প্রজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু ধানের বাইরে আরো ৫টি জাতের ধানের ছাড়পত্র দেয়ার কথা জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু ধানের রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের চেয়ে অনেক কম হয়। উচ্চমাত্রার জিংক-সমৃদ্ধ এ ধান ব্রি’র শততম জাত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই ধানটির এ নামকরণ করা হয়েছে। উপযুক্ত পরিচর্যা ও অনুকূল পরিবেশ না হলে ধানটির গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৭ দশমিক ৭ মেট্রিক টন হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়।
হেক্টরপ্রতি প্রায় ৯ মেট্রিক টন উৎপাদনের কথা উল্লেখ করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ অনুবিভাগের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বলাই কৃষ্ণ হাজরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কৃষকদের মাঝে ধানটি ছড়িয়ে দিতে পারলে ও তারা ব্যাপকভাবে চাষাবাদ করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে ধানটি।
ছাড়পত্র পাওয়া বাকি জাতগুলোর মধ্যে (ব্রি) উদ্ভাবন করেছে ৪টি এবং অপর একটি উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)। ব্রি উদ্ভাবিত বাকি জাতগুলো হলো— ব্রি ধান ৯৯, ব্রি ধান ৯৮, ব্রি ধান ৯৭ এবং ব্রি ধান ৯৬। বিনা উদ্ভাবিত ধান হচ্ছে বিনা ধান-২৪।
এমকে