দেশের অর্থনীতিতে ২৫ ভাগ অবদান রাখা এসএমই বা ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে লাগবে কমপক্ষে ২০ হাজার কোটি টাকা। অথচ এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ খাতে ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার চেয়েও কম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বাংলাদেশে। তাই বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে এ পরামর্শ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
দি ফিউচার অব এসএমইএস আফটার দি করোনা ক্রাইসিস: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচিউনিটিস শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং এফইএস বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান। অবশ্য গতবারের চেয়ে এবার এ খাতের উদ্যোক্তাদের মাঝে বেশি টাকা বিতরণ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা।
করোনাকালে এসএমই খাতের দুর্দশা প্রসঙ্গে ড. আতিয়ার বলেন, এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর ৭৬% পণ্য অবিক্রিত রয়ে গেছে। ৪২% আংশিক বেতন পেলেও ৪% কর্মী বেতনই পাননি। আর রাজস্ব কমেছে ৬৬%। বিভিন্ন দেশে করোনার ধাক্কা সামাল দিতে এ খাতে দেয়া প্রণোদনা প্রসঙ্গে বলেন, ভারত ৩৮%, থাইল্যান্ড ৩৩%, মালয়েশিয়া ২৪ ভাগ বরাদ্দ দিয়েছে।বাংলাদেশে দেয়া হয়েছে মাত্র ২২%। ‘এসএমই নীতিমালা ২০১৯’ সরকারের একটি কার্যকর উদ্যোগ উল্লেখ করে ড. আতিয়ার জানান, এ খাতের অবকাঠামো ও ক্লাস্টার উন্নয়নে এ নীতিমালায় এসএমই পণ্যের বাজার সংযোগের দিকেও নজর দেয়া হয়েছে।
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, করোনায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এ খাতের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে সরকার ইতোমধ্যে প্রণোদনা প্যাকেজ ও নীতি সহায়তা দিয়েছে। এর আওতায় গত অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকার মতো চলতি অর্থবছরে ২০০ কোটি টাকা বিতরণে এসএমই ফাউন্ডেশন সক্ষম হবে বলে আশা করেন তিনি।
২০১৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭৮ লাখের বেশি। এর মধ্যে ৯৫ হাজার এসএমই উদ্যোক্তার মাঝে করোকালে সরকারের দেয়া প্রণোদনার ১৫ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। অনু্ষ্ঠানে এ তথ্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান।
এমকে