কয়েক মাস ধরেই দেশের বাজারে আগের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল। বাজার দর নিয়ন্ত্রণে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব তেমনটা পড়েনি।উদ্ভূদ পরিস্থিতিতে চালের উৎপাদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তার মনে হয়, চালের উৎপাদন নিয়ে কৃষিখাত সংশ্লিষ্টদের দেয়া তথ্যের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। বিবিএসের হিসাবে দেশে মাথাপিছু চালের যে চাহিদা, তার চেয়ে অনেক বেশি চাল উৎপাদন হয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে। তাহলে বাকি চাল গেলো কোথায়? প্রশ্ন তার।
বুধবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশে চালের উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণকরণ-ডিআরপি শীর্ষক কৌশলপত্র উপস্থাপন ও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী ডা. শামসুল আলম।বাংলাদেশ রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিআরআরআই-ব্রি) এ কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে।কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিবিএসের হিসাবে মাথাপিছু ভোগের পরিমাণ ধরলে দুই কোটি ৮০ লাখ টনের বেশি চালের প্রয়োজন হয় না। তাহলে কেন আমদানি করতে হচ্ছে? নিশ্চয় উৎপাদনের তথ্যে ভুল রয়েছে।তিনি জানান, বাংলাদেশের অর্ধেকের কম আয়তনের হয়েও নেদারল্যান্ডস ৯৪ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য রফতানি করছে। অথচ কৃষিপ্রধান দেশ হযেও পাঁচ বিলিয়নে আটকে রয়েছে বাংলাদেশ।
কৃষিপণ্যের সঠিক ও ন্যায্য দাম নিশ্চিতে কৌশলপত্রে সুপারিশ করা প্রাইস কমিশন গঠন প্রসঙ্গে বলেন,তাহলে কৃষি বিপণন অধিদফতরের কী কাজ? এ দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে, না হয় সেটা ভেঙে প্রাইজ কমিশন করতে হবে। এ সময় চালের হেক্টর প্রতি ফলন বাড়ানোর তাগিদ দেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী।
এমকে