আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি)’র অধীনে। আর এ কমিশনের গঠন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন তিনি।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের জানান, এ কমিশনের সাংবিধানিক মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে, ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেয় এ কমিশন। তার আগে ৬ ফেব্রুয়ারি কমিশনের প্রধান কে এম নুরুল হুদাকে দায়িত্ব দেন রাষ্ট্রপতি।একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে বাছাই করে একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় কমিশন গঠন করেন রাষ্ট্রপতি।
বিএনপি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির ওপর শুরু থেকেই তাদের কোনো আস্থা নেই। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান অবৈধ, অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করেছিল। এরপর থেকেই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ও অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছে তারা। তিনি জানান, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেতার লক্ষ্যে নয়, নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল তারা। আর দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের কারণে বারবার জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি জনগণের ওপর দায় চাপায় বিএনপি। নিজেদের পরাজয় আড়াল করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষোদগার করে আসছে।
এমকে