উজানে ভারী বৃষ্টি হচ্ছেই, তাই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে দেশের নদ-নদীতে। অন্যতম প্রধান তিন নদ-নদী যমুনা, পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আরো বাড়তে পারে। আর পানি বাড়লে আরো অবনতি হতে পারে ১১ জেলার নিম্নাঞ্চলে বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতি।পানি বৃদ্ধিতে নতুন করে কিছু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তবে পানি কমছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের জলপাইগুড়িতে ১৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।দেশটির বৃষ্টিপাত রেকর্ডের স্টেশনেরগুলোর মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ। এ তথ্য পাওয়া গেছে বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট সূত্রে।
এদিকে সংশ্লিষ্টদের প্রাথমিক হিসাবে বন্যা কবলিত জেলাগুলোর মধ্যে তিন জেলায় ১৪ হাজার ৫৭১ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তলিয়ে গেছে ১১৫ হেক্টর জমির ফসল।পাশাপাশি কয়েক শ’ বাড়ি ও ১৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।বাকি জেলাগুলোর ক্ষতির পরিসংখ্যান এখনো জানা যায়নি।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী- কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও শরিয়তপুরের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার তুরাগসহ ৮ নদীর ১৯ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বিপৎসীমা অতিক্রমের মাত্রা অনুযায়ী পদ্মার দৌলতদিয়া পয়েন্টে ৬২, যমুনার মথুরা পয়েন্টে ২৩, আরিচা পয়েন্টে ২৫, ফুলছড়ি পয়েন্টে ৪৮, সাঘাটা পয়েন্টে ২৯, বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ৫৯, সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ৬৩, কাজিপুর পয়েন্টে ৫৮, সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৫৯, পদ্মার গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৬২, ভাগ্যকূল পয়েন্টে ১, সুরেশ্বর পয়েন্টে ১, ব্রহ্মপুত্রের চিলমারি পয়েন্টে ৪৯, হাতিয়া পয়েন্টে ১০, আত্রাই নদীর বাঘাবাড়ি পয়েন্টে ৫৫, ধলেশ্বরী নদীর এলাসিন পয়েন্টে ৬৪, ঘাঘট নদীর গাইবান্ধা পয়েন্টে ১৬ ও তুরাগ নদীর কালিয়াকৈর পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে গেছে পানি।
এমকে