আতঙ্কে তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা

০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

মহিনুল ইসলাম সুজন,ডিমলা(নীলফামারী):

নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে ১৫ ঘণ্টার ব্যবধানে আগের চেয়ে ১০ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে  তিস্তা নদীর পানি। এতে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নীলফামারীর ডিমলার তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা। ভাঙনের মুখে পড়া ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ভেন্ডাবাড়ির চরের দুই নম্বর স্পারটি ও খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের পুর্ব দোহলপাড়া বেরিবাঁধটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে বেশকিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ছয়টায় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হলেও সকাল নয়টার পর থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় এ পয়েন্টের পানি। অথচ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায়ও প্রবাহিত হয় বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে।

তিস্তা বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সুত্র জানায়, উজানের ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তায়।এতে দশটি ইউনিয়নের প্রায় দশ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ভেন্ডাবাড়ি চরের দুই নম্বর স্পারটির দেড়শ’ মিটার ভেঙে যায়। ফলে প্রায় দুইশ’ পরিবারের ঘরবাড়ি বিলিন হয়ে গেছে।আবারো পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শঙ্কায় রয়েছে অনেক পরিবারের মানুষ। বাঁধটি রক্ষা করা না গেলে চরম দুর্ভোগ দেখা দিতে পারে। খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের পুর্ব দোহলপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল লতিফ জানান,এলাকার বেরিবাঁধটির একশ’ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে পাঁচ শতাধিক পরিবার, হাজার হেক্টর আবাদি জমি। বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গনরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।


ডিমলা উপজেলার পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, হঠাৎ করে আবারো পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা নদী বেষ্টিত এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে, বিশেষ করে চর এলাকায়। টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, পানিবন্দি হয়ে পড়ায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না মানুষ। তারা অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে রয়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা জানান, কয়েক দফায় পানি বৃদ্ধির ফলে যেসব বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছিল, সেগুলো মেরামত করছি। তারপরও কোথাও নতুন করে সমস্যা হলে তাৎক্ষনিক মোকাবেলা করা হবে।

 

এমকে

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর