পর্যবেক্ষণে থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ১২ সেপ্টম্বর খুলছে। এতে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে উৎফুল্লতা বিরাজ করছে। পাশাপাশি করোনার গড় শনাক্ত এখনো এক দশকের ঘরে বিদ্যমান থাকায় কিছুটা করোনাভীতিও বিরাজ করছে তাদের মাঝে। তবে বেসরকারি একটি টেলিভিশনের আলোচনামুলক অনুষ্ঠান ‘টকশো’ এর আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কথায় অভিভাবদের অভয় দেয়ার বিষয়টি ওঠে এসেছে। বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখবে সরকার। প্রতিদিন এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বাধ্যতামূলক করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়ার পরে রাতে টকশোতে অংশ নেন শিক্ষামন্ত্রী।

আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার এ ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী । রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বিষয়টি তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী।

টকশোতে শিক্ষামন্ত্রী জানান, কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে ওই দিন।

টকশোতে শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রথম দিকে স্কুলের সময় সীমিত, হয়তো চার ঘণ্টা দিয়ে শুরু হবে। তবে পর্যায়ক্রমে সময়ের পরিসর বাড়ানো হবে। ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান প্রতিদিনই হবে। বাকি একেক শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান হবে একেক দিন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয় করোনা সংক্রমণের বিস্তাররোধকল্পে। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ায় পরবর্তীতে কয়েক ধাপে বাড়ানো ছুটির মেয়াদ এখনো বলবৎ রয়েছে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর