নিজের প্রেমিকাকে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিয়ে করছিলেন কাউছার সাকিব।কিন্তু বছর না ঘুরতেই স্ বিয়ে করেন অন্য মেয়েকে, প্রেমিকা স্ত্রীকে দেন তালাক। আর এর মাশুল হিসেবে আপাতত তাকে যেতে হয়েছে কারাগারে। তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর যৌতুক মামলায় বুধবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলমগীর আল মামুন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ঘটনাটি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার খরিয়াকাজীরচর ইউনিয়নের লংগরপাড়া গ্রামের।
কাউছার লংগরপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মাস্টার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী হলেন- শেরপুর সদর উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত এক সেনাসদস্যের মেয়ে ও রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই সাকিব তার স্ত্রীর পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করে আসছিল। গত ৭ মে ফের ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক না দাবি করে সে। কিন্তু এ টাকা না পাওয়ায় স্ত্রীকে তার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় সাকিব। এরপর ৪ জুন শহরের বাগরাকসা মহল্লার আফসানা জামান সেতু নামে এক মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। ১৩ জুন ভুক্তভোগীকে তালাক দেয়।
এদিকে এ ঘটনায় সাকিবের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইন এবং মুসলিম পারিবারিক আইন আদালতে দুটি পৃথক মামলা করেন তার প্রথম স্ত্রী। এসব মামলায় গত ২৩ আগস্ট আপোসের শর্তে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তঃবর্তীকালীন জামিন পায় সাকিব। কিন্তু আপোস-মিমাংসা না হওয়ায় উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী তাজুমুল ইসলাম।
তারিকুল ইসলাম/এমকে