চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
আটকের পর তিন রোহিঙ্গার পেট থেকে ৫ হাজারের বেশি ইয়াবা পাওয়া গেছে। পেটে ইয়াবা বহনের বিষয়টি বেরিয়ে পড়ে আটকদের মধ্যকার একজন বমি করার পরে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে চট্রগ্রামের সাতকানিয়ায়। বুধবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া মৌলভীর দোকান এলাকায় হানিফ পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করে র্যাব।
আটকরা হলো- মো. তারেক (১৯), আব্দুল শুক্কুর (২৪) নুর হাসান (১৪),বশির আহমদ (১৪)।একই অভিযানে আর তিনজনকে আটক করা হলেও তাদের কাছে কোনো মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়নি। তারা সবাই টেকনাফের ২৪ নম্বর লেদা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
র্যাব জানয়, তারেক বমি করে ৯ প্যাকেট ইয়াবা বের করে দিলে আটক বাকি দুজনও স্বীকার করে- তাদের পেটে ইয়াবা আছে। এরপর তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।পরে চিকিৎসকের পরামর্শে এক্সরে করে পেটে ইয়াবা থাকার সত্যতা পাওয়া যায়। এর ডাক্তারের দেয়া ওষুধ খাইয়ে ধীরে ধীরে তাদের পেট থেকে ৪ হাজার ৯৪৯ পিস ইয়াবা বের করে করে আনা হয়।
র্যাবের মিডিয়া উইং জানায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে টহল ডিউটির সময় র্যাব খবর পায়- হানিফ পরিবহনের একটি বাসে যাত্রীবেশে কয়েকজন ইয়াবা পাচার করছে। এরপর বাসটিকে ঘটনাস্থলে থামার সংকেত দেয়া হয়, তল্লাশি চালানো হয়। বাসের শেষ প্রান্তে বসা এদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা অসংলগ্ন উত্তর দেয়, তখন তাদের আটক করা হয়।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, র্যাব ছয় রোহিঙ্গা কিশোরকে থানায় হস্তান্তর করেছে। এদের মধ্যে তিন কিশোর পেটে ইয়াবা পাচারে জড়িত। তাদের কাছ থেকে ইয়াবাও জব্দ করা হয়েছে। আর অন্য তিন কিশোরকে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
দিলীপ কুমার তালুকদার/এমকে