বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, গ্রাহক সেবা দিতে বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক হারে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম টাকা বিল নেয়া হয়।ব্যবহারে সাশ্রয়ী না হলে ভর্তুকি কত দিতে পারবে সরকার! সেটা দেখতে হবে সবাইকে।
রোববার দেশের পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহবান জানিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে তিনটি সরকারি, বাকি দুটি বেসরকারি। এতে জাতীয় গ্রিডে ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে।
বিদ্যু ব্যবহারে নিজের সচেতনতা ও অভ্যাসের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণভবনের নিয়ম হচ্ছে সব জ্বালিয়ে রাখা। কিন্তু আমি যতটুকু জায়গায় থাকি, সেটার সাশ্রয়টা সঠিকভাবে রাখি।যখন বের হই, তখন অপ্রয়োজনীয় সুইচগুলো বন্ধ করে দেই। কারণ প্রসঙ্গে বলেন, কেউ চিরদিনই প্রধানমন্ত্রী থাকে না। তখন নিজের মতোই চলতে হবে। তাই অভ্যাসটা নষ্ট করে লাভ নেই।
বিদ্যুৎ খাতে তার সরকারের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা জানান, বিদ্যুৎ চালিত মেট্রোরেল চালু হবে। পর্যায়ক্রমে বাস ও রেলকে এর আওতায় আনা হবে। বিদ্যুৎচালিত গাড়ি হয়তো দেশেই উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এ রকম অনেক পরিকল্পনা তার সরকারের রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া। কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ পেলে মানুষ নিজের কর্মসংস্থান করতে পারে। বিদ্যুৎ পৌঁছাতে না পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে ওঠবে না, মানুষ তার সুফল পাবে না। এ সময় তার সরকারের আমলে করা নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে কিছু ব্যক্তির সমালোচনার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, যদিও আমি এসব পরোয়া করি না। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করতে হবে আমাদের।
উদ্বোধন করা পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে— হবিগঞ্জের বিবিয়ানা-৩৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাগেরহাটে মধুমতী ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সিলেটের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে উত্তরণ, জুলদা চট্টগ্রাম ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র ইউনিট-২ এবং নারায়ণগঞ্জে মেঘনা ঘাট ১০৪ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট। শেষের দুটি বেসরকারি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান।
এমকে