গোমর ফাঁস অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী রোজীর

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

দীর্ঘদিন ধরে থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়, কখনো কখেনা নিজের পরিচয় দেন অস্ট্রেলিয়া ইমিগ্রেশনের কনস্যুলার জেনারেলের। এ মিথ্যা পরিচয়ে দেশে থাকা প্রতাপশালীদের স্বপ্ন দেখাতেন- অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের। তাদের স্বপ্ন আর অদম্য ইচ্ছাই ছিল তার টাকা হাতিয়ে নেয়ার পুঁজি, নিয়েছেনও লাখ লাখ টাকা। তার এ ব্যবসার পরিধি বাড়াতে গড়ে তোলেন একটি নেটওয়ার্ক। সেই নেটওয়ার্কের সক্রিয় দুই সদস্যকে গ্রেফতারের পরেই সব গোমর ফাঁস হয় উম্মে ফাতেমা রোজীর। পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (সিআইডি) ইমাম হোসেনের দেয়া তথ্যমতে এসব জানা গেছে।

রোববার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন চৌকস গোয়েন্দা মি. হোসেন।

উম্মে ফাতেমা রোজীর গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠিতে। আটকরা হলো সাইমুন ইসলাম ও আশফাকুজ্জামান। শনিবার রাজধানীর বনশ্রী ও শাহজাহানপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করে সিআইডি। এর আগে তাদের খপ্পড়ে পড়া এক আইনজীবি গত ১ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। রাজধানী ঢাকার খিলগাঁও থানার এ মামলার তদন্তের ধারাবাহিকতায় সাইমুন ইসলাম ও আশফাকুজ্জামান গ্রেফতার করা হয়।

এডিআইজি ইমাম হোসেন জানান, বিদেশে বসেই রোজী দেশে থাকা তার নেটওয়ার্কটি নিয়ন্ত্রণ করেন। কখনো কখনো নিজের গ্রামেও আসেন। দেশে ফিরলেই টার্গেট নিয়ে কিছু পরিবারের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন, বিলাসি জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখান। আত্মীয় পরিচয়ে বিদেশ নেয়ার টোপ ফেলেন। রাজি হলেই ভুয়া ভিসা ও কাগজপত্র তৈরি করে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা।

চৌকস গোয়েন্দা অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন আরো জানান, অস্ট্রেলিয়ায়ব বসবাসের ক্ষেত্রে প্যাকেজের কথা জানাতেন আগ্রহী ব্যক্তিদের। বলতেন, স্বামী-স্ত্রীর জন্য ২৩ লাখ আর এককের জন্য খরচ হবে ১৮ লাখ টাকা। তার নেটওয়ার্কের সদস্যরা তাকে এ কাজে যাবতীয় সহযোগিতা করতেন।

সম্প্রতি তাদের ফাঁদে পা দেন সুপ্রিম কোর্টের ওই আইনজীবি।এরপর তার কাছে থেকে হাতিয়ে নেন ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকা, দেয়া হয় ভিসাও। এ ভিসায় স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের আট সদস্য যাওয়ার কথার ছিল আইনজীবীর। কিন্তু পরে যাচাইয়ে জানতে পারেন- ভিসাসহ যাবতীয় কাগজপত্র ছিল ভুয়া। শুধু এ আইনজীবিই নয়, এ পর্যন্ত তার মতো আরো সাতজনের কাছ থেকে এভাবে টাকা হাতিয়ে নেয়ার তথ্য পেয়েছে সিআইডি- উল্লেখ করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এমকে

 

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর