গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই-তিন ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে সমুদ্রবন্দর ও নদীবন্দরে। তাই সব সমুদ্রবন্দরে ৩ ও নদীবন্দরে ১ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌযানকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে, নিষেধ করা হয়ে গভীর সাগরে বিচরণ করতে। নিম্নচাপের প্রভাবে বেশ কয়েকটি বিভাগে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে সোমবার এমন কথাই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, নিম্নচাপটির কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ একটানা ৫০ কিলোমিটার। দমকা বা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে এ গতিবেগ । নিম্নচাপটি আরো ঘনীভূত হয়ে অগ্রসর হতে পারে উত্তর-পশ্চিমে। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, পায়রা থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং কক্সবাজার থেকে ৬৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিম দূরে অবস্থান করছিল নিম্নচাপটি।

নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়।একই ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় ও রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেটের কিছু কিছু জায়গায়। এ বৃষ্টিপাতের সময় বয়ে যেতে পারে অস্থায়ী দমকা হাওয়া।

সতর্ক বার্তায় জানানো হয়, ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে।এ সময় হতে পারে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি।

এমকে