ফসল চাষ, খামার ও কৃষির অন্যান্য খাতের জন্য ব্যাংক থেকে চার শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবেন কৃষক। ১৮ মাসের (ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ) মধ্যে এ ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে হবে। ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষীরা এককভাবে জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। নতুনদের পাশাপাশি নির্দিষ্ট শর্তে আগে ঋণ নেয়া কৃষকও এ সুবিধা পাবেন। এ জন্য তিন হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এ প্যাকেজে অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলো নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ নিশ্চিত করবে।আগে ঋণ নেয়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে বিদ্যমান ঋণ সুবিধার অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ (সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা) দিতে পারবে। নতুন কৃষকের জন্য ‘কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা’ অনুযায়ী ঋণ দিতে পারবে। গাভী পালন, গরু মোটাতাজাকরণ খাতে ব্যক্তিগত গ্যারান্টির বিপরীতে ঋণ প্রদানে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শস্য ও ফসল বাদে কৃষির অন্যান্য খাতের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম জামানত গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে ব্যাংক। পুরনো ঋণ সমন্বয়ের জন্য এ প্যাকেজের ঋণ ব্যবহার করা যাবে না। ঋণ খেলাপিরা এ ঋণ পাবেন না।
এমকে