উপজেলা পরিষদ আইনে বলা হয়েছে- উপজেলা পরিষদের অধীনে ন্যস্ত সব দফতরের সব কার্যক্রম পরিচালনায় উপজেলা পরিষদের অনুমোদন নিতে হবে ইউএনওদের। এ বিধি অনুসরণে একাধিক সার্কুলারও জারি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কিন্তু এ বিধি ও সার্কুলারটি অনুসরণ না করে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পরে উপজেলা পরিষদকে অবহিত করেন ইউএনওরা। তাই এ বিধির ব্যতয় যেন আর না ঘটে, সেজন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন। হাইকোর্ট এ সংক্রান্ত বিধি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জারি করা সার্কুলার যথাযথভাবে অনুসরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনওদের।একই সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসরণের জন্য আরেকটি সার্কুলার জারি করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে এ নির্দেশ দেয়া হয়। গত ৭ ডিসেম্বর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন স্থানীয় জনপ্রতিনিধির পক্ষ থেকে রিটটি করা হয়।
রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবি মনজিল মোরসেদ বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা পরিচালিত হবে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা। কিন্তু ইউএনওরা সেটা মানেন না, যা সংবিধান ও আইন পরিপন্থী। তিনি জানান, যে সার্কুলারটি জারি করতে বলা হয়েছে, সেই সার্কুলারে হাইকোর্টের আদেশের কথাটি উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।
এমকে