দেশের চিকিৎসকরা রাজনীতিতে জড়িযে পড়ায় দেশের মানুষ সেবা বঞ্চিত হচ্ছে বলে মনে করছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। তার প্রশ্ন, চিকিৎসকরা রাজনীতি করলে রাজনীতিকদের কাজ কী? একাদশ জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনে বুধবার Medical Collegues (Governing Bodies) (Repeal) Bill 2021 বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও বিলটির ওপর সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে এমন মন্তব্য করেন।অধিবেশনে চিকিৎসা খাতের বেহাল দশা নিয়ে কথা বলেন বিরোধী দলসহ বিএনপির একাধিক সংসদ সদস্য।
চিকিৎসা খাতের রাজনীতি প্রসঙ্গে কাজী ফিরোজ রশীদ জানান, বিএনপির সময়ে ড্যাব হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের সমযে করা হচ্ছে স্বাচিপ। এ সময়ে চিকিৎসক এবং বৈজ্ঞানিকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করারও প্রস্তাব দেন এ সংসদ সদস্য। বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, চিকিৎসকরা রাজনীতি করছেন। অথচ ডাক্তারদের ডাক্তারদের জায়গায় থাকার কথা। এ জায়গাটা রিপেয়ার করা দরকার।
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, বর্তমানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সরকারি হাসপাতালে কর্মরতরাই বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবসা করছে। সিআইডি রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৩-১৯ পর্যন্ত লাগাতার ৭ বছর মেডিকেল কলেজে ভর্তিতে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। অথচ কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, করোনায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পায়নি মানুষ। নিরুপায় হয়ে মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।এতে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন তারা। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক বলেন, ডাক্তাররা ডিউটির পর যদি প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে, সেক্ষেত্রে তার মূল কাজটা ঠিক থাকে না। এটা দীর্ঘদিনের একটা সমস্যা। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের পরামর্শ দেন এ সংসদ সদস্য। জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল চিকিৎসা ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা নেই।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ডাক্তারদের অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে- স্বাচিপ, বিএমএ । রাজনীতি সবাই করতে পারেন। চিকিৎসকরা অ্যাসোসিয়েশন করলে তাতে কোনো দোষ বা অন্যায় দেখি না। তারা সেবা দিচ্ছেন।
এমকে