রোহিঙ্গাদের ফেরা অনিশ্চিত

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

বছর চারেক আগে দেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত ও নির্যাতিত নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) তাদের দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি এখানো। বিভিন্ন কারণে দিনকে দিন নিজের দেশে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে তাদের। এর মধ্যে মাদক ব্যবসা, হত্যাসহ নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। অবৈধভাবে এ দেশের নাগিরকও হয়ে যাচ্ছেন এদের অনেকে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরো তৎপর হওয়া উচিৎ। একাদশ জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির (জিএম) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের দেয়া সমাপনী বক্তব্যে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

এদিকে সামনে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরা হবে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও রাখাইনে ফেরত যায়নি উল্লেখ করে বলেন, একদিন না একদিন তারা ফেরত যাবে। একই দিনে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে এ তথ্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতিসংঘের এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

সংসদে জিএম কাদের বলেন, মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছিল। সাম্প্রতিক দেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এক বক্তব্য টেনে জিএম কাদের বলেন, মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী কোনো দেশেরই সহায়তা পাচ্ছে না বাংলাদেশ।

অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, আফগানিস্তানসহ বিশ্বে চলমান নানা ইস্যুর কারণে রোহিঙ্গা ইস্যু হারিয়ে যাচ্ছে না। তাদের ওপর অত্যাচারের বিষয়টি বিশ্ব জানতে পেরেছে বাংলাদেশের প্রচারণার কারণেই। এটা বাংলাদেশের একটা বড় অর্জন। এ মুহূর্তে জাতিসংঘের এ অধিবেশনে এ বিষয়ে নতুন কোনো প্রস্তাব দেয়া হবে না।তবে সেখানে রোহিঙ্গাদের ওপর অনুষ্ঠেয় সাইড ইভেন্টে বাংলাদেশের সঙ্গে স্বেচ্ছায় বসতে চায় অনেক দেশ।

মন্ত্রী ড. মোমেন জানান, এ বিষয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। চীন মিয়ানমারের সামরিক নতুন সরকার গঠন পরবর্তী পরিস্থিতি স্টেবলের অপেক্ষা করছে, সরকার স্ট্যাবিলাইজড হলে আলোচনা শুরু করবে। তিনি জানান, এ সরকারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক হয়নি। তারা বলেছে, আগের সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিগুলোকে সম্মান দেখাবে, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করে বিষয়টি সমাধান করবে। সুতরাং বাংলাদেশ এখনো আশাবাদী- যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর