দেশের ছাত্র রাজনীতিকে জ্ঞান এবং মূল্যবোধের মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, আগামী দিনের রাজনীতি হতে হবে জ্ঞাননির্ভর। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শিক্ষা: ২০৪১ সালের লক্ষমাত্রা অর্জনের বাস্তবিক কৌশল শীর্ষক সেমিনারে এ আহবান জানান। ‘শিক্ষা দিবস’ উপলক্ষে সেমিনারটির আয়োজন করে দলটির শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন কমিটি।
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য অনুযায়ী, শিক্ষা ব্যবস্থায় ২০২১ সাল পর্যন্ত সরকারের নেয়া কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোনো ছেঁদ না ঘটলে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। তিনি জানান, শিক্ষা আজকে পণ্য হয়ে গেছে, হয়েছে পরীক্ষাভিত্তিক। কিন্তু সরকার পরীক্ষার্থী নয়, চায় শিক্ষার্থী। শিক্ষা জীবিকার জন্য, নাকি জীবনের জন্য দরকার- এটা বুঝতে হবে। জীবিকা ভিত্তিক শিক্ষায় আড়াল হয় গুণগত শিক্ষা।
এ সময়ে দেশের ছাত্র রাজনীতির সোনালী অতীত তুলে ধরেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ছাত্র সংগঠনগুলোর সেই গৌরবময় ইতিহাস কোথায় গেল? ছাত্রদের সমস্যা নিয়ে এখন কোনো ছাত্র সংগঠনকে কর্মসূচি দিতে খুব একটা দেখা যায় না। ছাত্রনেতারা এখন জাতীয় রাজনীতি নিয়ে বেশি মাথা ঘামান, সবাই জাতীয়- আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন। এভাবে চললে ছাত্র রাজনীতির প্রতি সাধারণ ছাত্রদের আকর্ষণ অনেক দূরে সরে যাবে, মূল্যহীন হয়ে যাবে ছাত্র রাজনীতি।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও বিশ্বমানের নয়, যা খুবই দুঃখজনক। র্যাকিংয়ের জন্য গবেষণা খুবই জরুরি বলে মনে করেন তিনি। বলেন, গবেষণা খাতের বিনিয়োগ এখনো অপ্রতুল। শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ দরকার। পাশাপাশি মেধাবীদের মেধার মূল্যায়ন করতে হবে।শিক্ষার মান যেমন বাড়াতে হবে, তেমনি বাড়াতে হবে শিক্ষকতার মানও ।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল খালেক। আরো বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুনাজ আহমেদ নুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রমূখ।
এমকে