টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী সব অংশীজনের সঙ্গে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আগামী প্রজন্মের জন্য বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর প্রতি এ আহবান জানানো হয়। শুক্রবার ‘মেজর ইকোনমিক ফোরাম অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লাইমেট শীর্ষক’ সম্মেলনের আগে ধারণ করা ভাষণে এ আহবান জানান। ভাষণে ফোরামের বিবেচনার জন্য বেশ কয়েক দফা প্রস্তাবও উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।ওয়াশিংটন ডিসিতে এ সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর বাসস।
ছয় দফা প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন- কার্বন নির্গমন হ্রাসকরণের মাধ্যেমে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখতে কার্বন নির্গমনকারী প্রধান দেশগুলোকে পদক্ষেপ নেয়া দরকার। জলবায়ু তহবিলের জন্য বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের অঙ্গীকার পূরণ করা দরকার উন্নত দেশগুলোর, সেই সঙ্গে এ তহবিল অভিযোজন ও প্রশমনের মধ্যে ৫০:৫০ বিতরণ করা দরকার। উন্নয়নশীল দেশে প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সবচেয়ে কার্যকর জ্বালানি সমাধান নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে উন্নত দেশগুলোকে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে উত্তরণের ক্ষেত্রে জাতি-রাষ্ট্রগুলোর সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন অগ্রাধিকারগুলোর হিসাব নেয়া এবং তাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লোকসান ও ক্ষতির বিষয়গুলো বিবেচনা করা দরকার।দরকার সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদীভাঙন, বন্যা ও খরার কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সব দেশকে ভাগ করে নেয়ার।
ভাষণে বাংলাদেশে জলবায়ুজনিত প্রভাবের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, সবচেয়ে বেশি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অন্যতম একটি বাংলাদেশ। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদীভাঙন, বন্যা ও খরার প্রভাব ছাড়াও মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় গুরুতর জলবায়ু প্রভাবের সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এ পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন প্রচেষ্টায় তার সরকার তৎপর রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
এমকে