ভোট কেন্দ্রে গোলাগুলি, চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক নিহত

২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হতে না হতেই কক্সবাজারের মহেশখালীর একটি ভোট কেন্দ্রে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর এক সমর্থক নিহত হয়েছেন, আর গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন চার জন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে কুতুবজোম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবজোম দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ কামাল ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোশারফ হোসেন খোকনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। এ ঘটনায় পরস্পরকে দোষারোপ করেছেন দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। ঘটনার পরপরই ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হলেও ১১ টার দিকে তা ফের শুরু হয়।

নিহত সমর্থকের নাম আবুল কালাম, তিনি ওই ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার ছোট মিয়ার ছেলে, মোশারফ হোসেন খোকনের সমর্থক ছিলেন তিনি। আহতরা হলেন- কুতুবজোমের এলাকার মো. কাজল, সায়মন, মোবারক হোসেন ও একরামুল হক। তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নির্বাচনী এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, জাল ভোট দেয়া নিয়ে এ দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মামুনুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, গুলিবিদ্ধ পাঁচজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনার পর তাদের সবাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পথে আবুল কালামের মৃত্যু হয়।

আবুল কালামের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হাই বলেন, পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

এদিকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোশারফ হোসেনে সাংবাদিকদের বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ কামালের সমর্থকেরা কেন্দ্রে এসে জাল ভোট প্রয়োগ ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখালে সাধারণ ভোটাররা এর প্রতিবাদ করেন। এসময় শেখ কামালের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। শেখ কামালের লোকজনের গুলিতে আবুল কালামের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তাঁর।

পক্ষান্তরে চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ কামাল বলেন, মোশারফের লোকজন তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা ও গুলি চালিয়েছেন।

দিলীপ কুমার তালুকদার/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর