ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়ে সোমবার শেষ হলো ১৬০ টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন। একই সঙ্গে শেষ হয়েছে ৯টি পৌরসভা ও স্থানীয় সরকার পরিষদের কয়েকটি উপ-নির্বাচন। বেশ কয়েকটি ইউপি ছাড়া বাকি সব ইউপিতে নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে- ভোট শেষে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এমন কথাই জানালেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের পরিস্থিতি তুলে ধরেন হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। তবে পৌরসভা ও উপ-নির্বাচন বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেননি তিনি।
এদিকে নির্বাচনের ফলাফল পুরোটা পাওয়া যায়নি। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় ৪৪ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।দলীয় প্রতিকের এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। আর বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন দলীয় প্রতীকের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।
ভোটগ্রহণ চলাকালে বেশ কয়েকটি ইউপিতে অপ্রীতিকর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কক্সবাজারের মহেশখালি ও কুতুবদিয়ার দুটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলাকালে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় দু্জনের প্রাণহানি ঘটেছে, আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন। অনিয়মের কারণে ৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে।নির্বাচনে সহিংসতা প্রসঙ্গে ইসি সচিব জানান, বেশি ইমোশনাল হয়ে প্রার্থীরা নিজেরাই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। এতে অকস্মাৎ এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ও ঘটে যেতে পারে।
প্রাথমিকভাবে পাওয়া ভোট পড়ার হার তুলে ধরে ইসি সচিব জানান, ইভিএমে ইউপিতে অন্তত ৫০ শতাংশ আর পৌরসভায় ৫৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। ব্যালটের মাধ্যমে এ হার ৬৫’র বেশি হবে।
এমকে