চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
গভীর রাত, যাত্রীবাহী বাসে স্বামীর সঙ্গে বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা ফারেহা বেগম (২৭)। পথেই প্রসববেদনা ওঠলে তড়িঘরি করে তাকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায় বাসটি। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি করার সময় না পাওয়ায় হাসপাতালটির চিকিৎসক ও মিডওয়াইফদের সহযোগিতায় ছেলে সন্তান প্রসব করেন তিনি। মঙ্গলবার রাত (সোমবার দিনগত) আড়াইটার দিকে চট্টগ্রামের পটিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে প্রসূতি ও নবজাতক সুস্থ আছেন, তাদের পটিয়া উপজেলা জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে।
ফারেহার স্বামীর নাম আব্দুল্লাহ (৩০)। তার শ্বশুরবাড়ি ময়মনসিংহে, বাপের বাড়ি চট্টগ্রামের চকরিয়ায়।ঢাকার নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন এ দম্পতি। আব্দুল্লাহ পেশায় রিকশাচালক। ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী রিলাক্স পরিবহনের একটি বাসে যাচ্ছিলেন তারা।
আবদুল্লাহ জানান, ১০–১৫ দিন পর সন্তান ভূমিষ্ঠের কথা ছিল। যাত্রীদের সহায়তায় বাসটি পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে বাসের ড্রাইভার, যাত্রী ও হাসপাতালের ডাক্তার— সবাই সহযোগিতা করেছেন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।
হাসপাতালটিতে ঘটনার সময়ে কর্মরত মিডওয়াইফ বিবি হালিমা ও শরিফা জেসমিন জানান, বাসে গিয়ে দেখি রোগীর অবস্থা স্থানান্তরযোগ্য নয়। তাই স্যারের পরামর্শে বাসেই জরুরি সহায়তায় ডেলিভারি সম্পন্ন করা হয়।বিবি হালিমা বলেন, এটা আসলে একটা বিরল অনুভূতি।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ বলেন, এ মা ও শিশুকে বাঁচানোর পেছনে সবার সহযোগিতা ছিল। শুধু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নয়, গাড়িতে থাকা চালক, যাত্রীরাও ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
দিলীপ তালুকদার/এমকে