দেড় বছরের বেশি সময় পর খুলছে প্রাথমিক-উচ্চমাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। খুললেও করোনার কারণে ক্লাসের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রাখা হয়েছে। একই কারণে এতদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বিশেষত প্রাথমিকের পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষেত্রে এক ধরনের ঘাটতি রয়েছে। আর অনেক দিন বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘাটতি পূরণ ও বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাড়াতে চাইছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। তাই শিক্ষকদের জন্য জারি করা হয়েছে ১১ দফা নির্দেশনা।এসব নির্দেশনা ঠিকমত বাস্তবায়ন হচ্ছে কি-না তাও দেখভালের জন্য সব বিভাগীয় উপপরিচালক থেকে শুরু করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দেয়া নির্দেশনা সংক্রান্ত চিঠিতে সই করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে- শিক্ষার্থীর নাম, শ্রেণি, রোল, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, কী কারণে অনুপস্থিত ও গৃহীত পদক্ষেপসহ সংশ্লিষ্ট বিষয় উল্লেখ করে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তথ্য রেজিস্ট্রারে সংরক্ষণ করতে হবে। অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ, প্রয়োজনে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে হোম ভিজিট করতে হবে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির (শ্রেণিভিত্তিক) হার নিয়মিতভাবে সংরক্ষণ ও উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। বিদ্যালয় বন্ধকালীন শিখন ঘাটতি পূরণে শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থীদের পারঙ্গমতা যাচাইসহ বিভিন্ন দলে বিভক্তের মাধ্যমে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড নির্দেশিত পাঠ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সম্প্রচারিত চলমান অনলাইন ক্লাস 'ঘরে বসে শিখি’র পাঠদান কার্যক্রমে অংশ নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। শ্রেণিভিত্তিক প্রতিটি শিশুর শিখন যোগ্যতার প্রোফাইল ( শিখন ঘাটতি পরিস্থিতি) প্রণয়ন ও এ সম্পর্কিত অগ্রগতির তথ্য রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে। ধারাবাহিক মূল্যায়নে শ্রেণির ও বাড়ির কাজ যাচাইয়ের জন্য একই শ্রেণির শিক্ষার্থীর ঘাটতি নিরূপণে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের মনো-সামাজিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করে সহনশীল ও মানবিক আচরণ করতে হবে (বিদ্যালয়ের কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য)। রুটিন অনুযায়ী যেসব শিক্ষকের পাঠদান কার্যক্রম থাকবে না, তাদের বিদ্যালয়ে বসে অবশিষ্ট ৩টি শ্রেণির জন্য গুগল মিট-এ (যেখানে সম্ভব) কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ থেকে পাঠানা দায়িত্ব ও কর্তব্য সংক্রান্ত মেন্টরিং গাইডলাইন টুলস অনুসরণ করে নিজ দায়িত্ব পালনে সচেতন হতে হবে মাঠ পর্যায়ের মেন্টরদের। আর সব ক্ষেত্রে সরকার নির্দেশিত করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এমকে