বৈশ্বিক মহামারি করোনার শক্ত ধাক্কা সামলে অগ্রগতির দিকে হাঁটছে দেশের শিল্প কারখানা ও রফতানি খাত। ফলে ইতিবাচক ধারায় ফিরবে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরে বাড়বে জিডিপি প্রবৃদ্ধি। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি বিবেচনায় নিয়ে এমন আশার কথা শুনিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।পূর্বাভাস দিয়েছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ জিডিপি অর্জনের, আর আশঙ্কা করছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতির। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জিডিপির বিষয়টি তুলে ধরছে এডিবির ঢাকা কার্যালয় ।
এডিবি জানায়, বর্তমানে প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান চ্যালেঞ্জ করোনা। কিন্তু বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হচ্ছে এবং সরকারি উৎপাদন-বান্ধব নীতিমালার কারণেও এবার প্রবৃদ্ধি বাড়বে জিডিপির। চলতি অর্থবছরে সরকার এ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন ধরেছে ৭ শতাংশের বেশি।
এডিবির পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, জীবিকা রক্ষায় জীবন বাঁচাতে নেয়া সরকারের নীতিগুলো অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছে। আর এ প্রক্রিয়াকে আরো ত্বরান্বিত করবে কর্মসংস্থান সৃষ্টির অব্যাহত প্রচেষ্টা, ভ্যাকসিন দ্রুত দেয়া এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের উন্নতি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে নিজেদের কর্মসূচির অগ্রাধিকার পুনর্বিন্যাস করেছে এডিবি। জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা, দক্ষতা এবং গ্রামীণ উন্নয়ন, পানি ও স্যানিটেশন এবং অর্থ খাতে। গত বছর করোনা সংক্রমণ শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সামাজিক সুরক্ষা, কর্মসংস্থান, ভ্যাকসিন সংগ্রহ এবং জরুরি ব্যবস্থাপনার জন্য ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার অনুমোদিত হয়েছে।
এমকে