সদ্য শেষ হওয়া স্থানীয় সরকার নির্বাচন (ইউপি ও পৌরসভা) নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের দেয়া বক্তব্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসাবেই দেখছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রশ্ন রেখেছেন, না হলে একটি দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে মাহবুব তালুকদার  এ ধরনের বক্তব্য দেন কীভাবে।বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকায় তাঁর বাসভবনে প্রেস ব্রিফিংকালে বিষয়টি তুলে ধরেন ওবায়দুল কাদের।

মাহবুব তালুকদারের বক্তব্যের সুত্রে ধরে ওবায়দুল কাদের জানান, প্রতিযোগিতাপূর্ণ  নির্বাচনের জন্য বিএনপির অংশগ্রহণ প্রয়োজন থাকলেও মাহবুব তালুকদার কিন্তু  তাদের আনতে পারেননি নির্বাচনে। তিনি (মাহবুব তালুকদার) নির্বাচনে ভোটারদের অনাগ্রহের কথা বলেছেন, অথচ  করোনার মধ্যেও  ভোটারের উপস্থিতি ছিল প্রায় ৬৯ শতাংশ।

এ নির্বাচন নিয়ে বুধবার নির্বাচন ভবনে লিখিত বক্তব্যে কমিশনার মাহবুব বলেন, ভোটের টার্নআউট মোটামুটি ভালো হলেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪৩ প্রার্থী ইউপি চেয়ারম্যান পদে অভিষিক্ত হওয়া এ নির্বাচনকে স্নান করে দিয়েছে।  বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচনে বহুদলের অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন, কিন্তু  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পদে আসীন হওয়াকে নির্বাচিত হওয়া বলা যায় কি? ভোটারদের নির্বাচন বিমুখতা গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত বলেই মনে হয় তাঁর।

এদিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের আরো জানান, এগিয়ে যাওয়ার সময় দেশের অগ্রযাত্রার গতিকে থামিয়ে দিতে ও দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে  চায় বিএনপির নেতৃত্বে প্রতিক্রিয়াশীল একটি মহল। তারা চায় আন্দোলনের নামে জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করতে। তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে  অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। করোনার স্থবিরতা কাটিয়ে গতি ফিরতে শুরু করেছে জনজীবনে। এ সময়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি।

এমকে