দীর্ঘ উত্তেজনার পর ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ঘাটিতে ফিরে যাচ্ছে রাশিয়ার সেনারা। মঙ্গলবার দেশটির তরফ থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনসহ পশ্চিমা দেশগুলো গত কয়েক মাস ধরে দাবি করে আসছিল যে ইউক্রেনে হামলা করতেই এ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যদিও সে দাবি প্রথম থেকেই প্রত্যাখ্যান করেছে মস্কো। তাদের দাবি, মূলত সামরিক মহড়া চালাতেই সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। এখন মহড়া শেষ হওয়ায় সেনাদের আস্তে আস্তে ফিরিয়ে আনা হবে।
রয়টার্সের খবরে জানানো হয়েছে, ঠিক কী পরিমাণ সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ইউক্রেনের উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণে ১ লাখ ৩০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল দেশটি।
এর প্রেক্ষিতে পশ্চিমা বিশ্লেষকরা বলছিলেন, যে কোনো সময় ইউক্রেকে আক্রমণ করতে যাচ্ছে রাশিয়া। পশ্চিমা নেতারাও রাশিয়াকে যুদ্ধের বিষয়ে বারবার সাবধান বার্তা দিয়েছেন।
এরইমধ্যে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রুশ সেনা প্রত্যাহারের কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা সবসময়ই বলেছি আমাদের সেনারা মহড়া শেষ হওয়ার পরই ঘাটিতে ফিরবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এ সঙ্কটে তেল ঢালার চেষ্টা করেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ নিয়ে কৌতুকও করেছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পরেও হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না বৃটেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এলবিসি রেডিওকে বলেন, রাশিয়ানরা দাবি করছে তাদের আক্রমণের কোনো পরিকল্পনা নেই। এটি সত্যি কিনা তা বুঝতে হলে আমাদেরকে দেখতে হবে তারা সব সেনা প্রত্যাহার করেছে কিনা।
এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, রাশিয়া এ সংকট থেকে পিছু হটছে এমনটা তারা তখনই বিশ্বাস করবেন, যখন তারা নিজ চোখে দেখবেন যে সকল রুশ সেনাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
আরআই