টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা অর্জনে বর্ধিত তহবিল প্রয়োজন

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

বৈশ্বিক টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা অর্জনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বর্ধিত তহবিল প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর টেকসই নিরাপত্তা অর্জনে প্রযুক্তি  হস্তান্তরসহ জলবায়ুজনিত চরম ইভেন্টগুলোর সঙ্গে অভিযোজনের জন্য দেয়া প্রতিশ্রুত তহবিল ছাড়ের পরামর্শ দেন তিনি। সেই সঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি উন্নয়নে গবেষণা, বিনিয়োগ ও উন্নত প্রযুক্তি বিনিময়ের ওপরও জোর দেন। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ ফুড সিস্টেমস সামিট ২০২১ এ ভার্চুয়ালি যোগদান করে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলার সময় বিষয়গুলো তুলে ধরেন প্র্রধানমন্ত্রী। খবর বাসস।

প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জনসংখ্যা ১০ বিলিয়ন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এ অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য আরো খাদ্য উৎপাদন অপরিহার্য। এ জন্য একটি বৈশ্বিক জোট ও অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশগুলোর পরস্পর সহযোগিতার মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় হ্রাসের প্রয়োজনীয়তার কথাও এসময়  তুলে ধরেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান।

বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা জানান, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির হার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে ছাড়িয়ে গেছে, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠেছে তার দেশ। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘনঘন চরম আবহাওয়া-জনিত দুর্যোগ এ গতিবেগকে প্রভাবিত করছে। অবশ্য জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জলবায়ু-সহিষ্ণু কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থা নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। কাজ করা হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য। তিনি জানান, এজেন্ডা ২০৩০ অর্জনে বাংলাদেশ তার জাতীয় নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনায় খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরকে অন্তর্ভুক্ত হাতিয়ার হিসেবে সমন্বিত করেছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, জাতীয় কৃষি নীতি-২০১৮, জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতি-২০২০ এবং এর কর্মপরিকল্পনায় খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি মানসম্মত খাদ্য নিশ্চিতে  প্রচেষ্টা জোরদার করেছে সরকার।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর