সংবিধানে সুস্পষ্টভাবেই ‘আইনের বিধানাবলি-সাপেক্ষে’ নির্বাচন কমিশন নিয়োগ প্রদানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দেশে সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে কোনো সরকারই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়নি। তাই আইনটি প্রণয়ন করতে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের কাছে আহবান জানিয়েছেন দেশের ৫২জন বিশিষ্ট নাগরিক। সেই সঙ্গে তাঁরা আইনটি প্রণয়নে সরকারকে সহযোগিতা করার আশ্বাসসহ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন, প্রত্যাশা করছেন সরকারের আন্তরিকতা। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক অধ্যাপক বদিউল আলম মজুমদার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ আহবান জানানো হয়েছে।শনিবার বিবৃতিটি দেয়া হয়।
আইনটি প্রণয়নে দ্রুত উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান নূরুল হুদা কমিশনের মেয়াদ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হবে। তাই এ কমিশন পুনর্গঠনের উদ্যোগ এখনই শুরু করতে হবে।কেননা হুদা কমিশন চরম পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে জনগণের। সৃষ্টি হয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে তীব্র শঙ্কাও । এ কমিশনের আগের কমিশনও জনগণের আস্থা হারিয়েছে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে। বলা হয় আইটি প্রণয়নে নাগরিক হিসাবে মতামত প্রকাশের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন বিবৃতিদাতারা।
বিবৃতিদাতারা বলছেন, প্রস্তাবিত আইনে প্রধানসহ সব নির্বাচন কমিশনারের যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ ও একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের বিধান রাখতে হবে। স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আইনে বিধৃত যোগ্যতার মানদণ্ডের আলোকে সৎ, নির্দলীয় ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের একটি প্যানেল নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দিতে রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ করবে এ অনুসন্ধান কমিটি। স্বচ্ছতার অংশ হিসেবে অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশ করা প্যানেলের পরিচয় প্রকাশসহ এ বিষয়ে গণ শুনানির আয়োজনের বিধান থাকতে হবে। বিধান রাখতে হবে সুপারিশকৃত প্যানেলটি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেয়া যোগ্যতার মাফকাঠি সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশের।
বিবৃতিতে অধ্যাপক বদিউল আলম মজুমদার ছাড়াও স্বাক্ষর করেছেন- অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমির-উল ইসলাম, এম হাফিজউদ্দিন খান, আকবর আলী খান, রাশেদা কে চৌধুরী, বিচারপতি আবদুল মতিন, এম সাখাওয়াত হোসেন, ড. হামিদা হোসেন, সালেহ উদ্দিন আহমেদ, আলী ইমাম মজুমদার, আবু আলম শহীদ খান, মহিউদ্দিন আহমদ, দেবপ্রিয় ভট্টচার্য, খুশী কবির, অধ্যাপক পারভীন হাসান, ড. ইফতেখারুজ্জামান, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, ড. আহসান মনসুর, জেড. আই খান পান্না, শাহদীন মালিক, শিরিন হক, সালমা আলী, মুনিরা খান, শাহীন আনাম, ফারাহ কবির ও অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন প্রমুখ।
এমকে