বগুড়ায় মাঘী পূর্ণিমার পূণ্যস্নানে ভক্ত ও পূণ্যার্থীদর ঢল

১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

দীপক সরকার, বগুড়া প্রতিনিধি:

বগুড়ার শেরপুরের ঐতিহাসিক মা ভবানী মন্দিরে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে মাঘী পূর্ণিমার পূণ্যস্নান উৎসব। দিনব্যাপী  এ উৎসবে  জেলার বাইরেও আশেপাশের কয়েক জেলার হাজার হাজার ভক্ত ও পূণ্যার্থীরা যোগ দেন। জীবনের পাপ, তাপ, দুঃখ, বেদনা মোচনসহ মনবাঞ্চনা পূরণ ও পূণ্যতা লাভের  প্রার্থনা করেন তারা।

বাংলা পঞ্জিকা তিথি অনুযায়ী প্রতিবছর মাঘ মাসে পূর্ণিমায় (চাঁদের) এ মন্দির এলাকায় স্নান মেলা বসে। অন্যান্য বছর এ মেলায় ভারতসহ বিভিন্ন দেশের পূণ্যার্থীদের আগমন ঘটে। তবে করোনার কারণে এবার এর ব্যতয় ঘটে। কেবল দেশের বিভিন্ন জেলার পূণ্যার্থীরা অংশ নেয়। এবারে নির্বিঘ্নে উৎসব শেষ করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

ধর্মীয় শাস্ত্রমতে, মাঘী পূর্ণিমার দিনে এ স্থানে অংশ নিলে তার অতীত জীবনের পাপ, তাপ, দুঃখ বেদনা  মোচনসহ পূণ্যতা লাভ হয়। আর সেই আশায় হাজার হাজার ভক্ত নর-নারী ও শিশু কিশোর মন্দিরের শাঁখারী পুকুরে স্নান করেন। সেই সঙ্গে ঐতিহাসিক এ মন্দিরের রতি প্রতিমা দর্শন, পূজাঅর্চনা, ভোগদান, অর্ঘদান, মাতৃদর্শন করেন ভক্তরা। মন্দিরের পক্ষ থেকে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। মন্দিরের চারপাশে মেলা বসে। মেলায় মুড়ি, মুড়কী, ঝুঁড়ি, মিষ্টান্ন, রকমারি খাবার সামগ্রীসহ মসলাদিও পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে শিশুদের বিভিন্ন খেলনা, ইতিহাস ঐতিহ্যখ্যাত বই পুস্তুক  এ মেলায় পাওয়া যায়।

এদিকে এবারের পূণ্যস্নানে অংশ নিতে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকেই  পূণ্যার্থীরা আসতে থাকেন মন্দির এলাকায়। রাত যাপন করেন মন্দির এলাকা ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে। পূণ্যস্নানে আসা সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার বানিয়াগাতি থেকে আসা অন্তরা, আরতি, স্নেহা রানী সাহা, করুনা, নাটোরের পুঠিয়া থেকে সুদিপ্তা রানী, সিরাজগঞ্জের আরতি রানী বলেন, ‘মা’ এর দর্শন নিতে এখানে এসেছি। মনের আশা বাসনা পূরণের জন্য স্নান শেষে ‘মা’ এর কাছে আর্শিবাদ করেছি।

মা ভবানীপুর মন্দির সংস্কার, উন্নয়ন ও পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, এ বছর সরকারিভাবে এ মন্দির প্রাঙ্গনে কোনো প্রকার মেলার আয়োজন করার অনুমতি নেই। তবে পূর্ন্যাথীরা তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করতে এ মন্দির প্রাঙ্গনে উপস্থিত হওয়ায় এটি মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর