হাতীবান্ধায় হাঁস ও কলাগাছ প্রতিযোগিতা

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

লাজু মিয়া , লালমনিরহাট 

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এক সময়ের জনপ্রিয় হাঁস ও কলাগাছ প্রতিযোগিতা।রোববার দুপুরে ফকিরপাড়া ইউনিয়নের জোড়াপুকুর এলাকার আতোয়ার মিয়ার দিঘীতে এ প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরল ইসলাম। প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিকভাবে ১শ’ প্রতিযোগি অংশ নেন। জোড়া পুকুর বাজার কমিটির আয়োজিত প্রতিযোগিতা দেখতে  দিঘীপাড়ে ভিড় জমায় বিভিন্ন বয়সী শ’ শ নারী-পুরুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিযোগিতার শুরুতেই দিঘীটিতে ছেড়ে দেয়া দুটি হাঁস। রেফারির বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে দিঘীর পানিতে ঝাঁপ দেন আটজন। দীঘির চারপাশে জড়ো হয়ে থাকা দর্শক করতালি দিতে থাকনে। হাঁস ধরতে শুরু হয় হইচই। ধারাবাহিকভাবে বাকি প্রতিযোগি অংশ নেন। হাঁস ধরার প্রতিযোগিতা শেষে শুরু হয় কলাগাছে ওঠার পর্ব।

বাউরা আরেফা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারহানা ইয়াসমিন জানায়, পরিবারের সঙ্গে খেলা দেখতে এসেছি। করোনাভাইরাসের পর এ প্রথম খেলাটি দেখলাম। অনেক ভালো লাগছে। ষাটোর্ধ্ব শাহ আলম মিয়া বলেন, অনেকদিন পর খেলা দেকনো বাহে। এ বয়সে হাঁস খেলা দেখি মনটা ফূর্তি হইলো। দর্শকদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন- জোড়াপুকুর বাজার কমিটির সভাপতি ফজলার রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম।

জোড়াপুকুর বাজার কমিটির সভাপতি ফজলার রহমান বলেন, বাপ-দাদার আমলের এই খেলাগুলো আর চোখে পড়ে না।  সেই খেলাগুলো আবার নতুন প্রজন্মদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্যই এ আয়োজন। এলাকার সবাই মিলে এটা আয়োজন করা হয়। চেয়ারম্যান নুরল ইসলাম বলেন, হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এবং যুব সমাজকে মাদক ও অপরাধ মুক্ত রাখতে এসব ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় খেলার আয়োজন প্রশংসনীয়। প্রতি বছর এ হারিয়ে যাওয়া খেলাগুলো আয়োজন করা উচিত। প্রতিযোগিতা শেষে অথিতিরা বিজয়ীদের মধ্যে তারা পুরস্কার বিতরণ করেন।

 

এমকে

 

 

 

 

 

 

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর