আজ ২৮ সেপ্টেম্বর(মঙ্গলবার), প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। ১৯৪৭ সালের আজকের দিনটায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেসা দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন- গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া গ্রামে। বাংলাদেশকে অন্যন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কারিগর এ নারী ১৯৮১ সালে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ পরিচালনা দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিকভাবে নানা হয়রানি আর বাধা ডেঙিয়ে ১৯৯৬ সালে প্রথম তার দল নিয়ে সরকার গঠন করেন, প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হন। মাঝের এক সরকারের শাসনামল শেষে ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ সন্তান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর একমাত্র ছোট বোনসহ তাঁর চলার পথ একটুও মৃসণ ছিল না, ছিল বন্ধুর। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গমাতাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যার সময় ভাগ্যক্রমে তাঁরা দুবোন বেঁচে যান বিদেশ (জার্মানি) থাকার কারণে। এরপর দীর্ঘ সময় তাদের দেশে ফিরতে দেয়া হয়নি, বাধা দিয়েছে তৎকালীন সরকার। পরবর্তীকালে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে ৬ বছর অবস্থান করেন। ১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডে থেকে শুরু করেন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন । আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পরে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন তিনি। দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হলে শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন, কারান্তরীণ হয় বেশ কয়েকবার। হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র হামলাও করা হয় অনন্ত ২০ বার । কিন্তু ক্ষুধা, দারিদ্র ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণ নিয়ে তাঁর বাবা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় প্রত্যয় আর অঙ্গীকারে পথচলা এ নারীকে কোনোভাবেই দমাতে পারেনি তৎকালীন সরকার।শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেন ১৯৯৬ সালে।
শেখ হাসিনা ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্রজীবন থেকেই সব গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্রী সংসদের সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন।
জন্মদিনের আজকের দিনটায় বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন শেখ হাসনিা। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে সেখানে গেছেন তিনি, সন্তানদের সঙ্গে তিনি জন্মদিনের সময় কাটাবেন। তার অনুপস্থিতিতেই নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপন করছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এমকে