ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুই ব্যাংকের ওয়েবসাইট। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এ হামলা চালানো হয়। ইউক্রেন সরকারের পক্ষ থেকে এমনটি দাবি করা হয়েছে। তবে হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি।
এ ঘটনার তদন্ত করছে ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা পরিষেবা সংস্থা স্টেট সার্ভিস অব স্পেশাল কমিউনিকেশনস অ্যান্ড ইনফরমেশন প্রটেকশন অব ইউক্রেন। সংস্থাটির ডেপুটি চেয়ারম্যান ভিক্টর জোরা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, এখনই কাউকে দায়ী করা যাচ্ছে না।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা গত দুই মাস ধরে। ইউক্রেন সীমান্তে ১ লাখেরও বেশি সেনা মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া। যে কোনো সময় হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটটি হ্যাক হয়। একই সময়ে রাজধানী কিয়েভের দুই ব্যাংকের ওয়েবসাইটে হামলা চালিয়ে ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয় হ্যাকাররা। এতে গ্রাহকেরা পড়েন সীমাহীন ভোগান্তিতে।
ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের চেষ্টা করছিল ইউক্রেন। সেজন্য দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া। ন্যাটোকে রাশিয়া বরাবরই পাশ্চাত্য শক্তির আধিপত্য বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করে।
আরআই